কলকাতা: আজ, মঙ্গলবার ধর্মতলায় এসএফআই, ডিওয়াইএফের ইনসাফ সমাবেশ ঘিরে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনীতি। পুলিশ ধর্মতলায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। বাম ছাত্র, যুব নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ অনুমতি না দিলেও সমাবেশ হবে। সভা, সমাবেশ, মিছিল করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। ডিওয়াইএফের রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, আশা করব, পুলিশ আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। পুলিশ, প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহল আজ গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না।
আজকের এই ইনসাফ সভার জন্য গত প্রায় এক মাস ধরে বাম ছাত্র, যুবরা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালিয়েছেন। দুর্ণীতিগ্রস্তদের শাস্তি, দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ, আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্তদের খুনের বিচার সহ একাধিক দাবিতে এই ইনসাফ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। বাম ছাত্র, যুবদের দাবি, এই সভা হবে ঐতিহাসিক। নেতৃত্ব সাধারণ মানুষকেও সভায় শামিল হতে আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আজ যাঁরা কলকাতার পথে বেরবেন, তাঁরা হাতে সময় নিয়ে বেরবেন।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীর স্কুটিনি, অ্যাপটিচিউড টেস্ট
রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনও সভা হতে না দিতে বদ্ধপরিকর। সকাল থেকেই ধর্মতলাকে পুলিশি দুর্গে পরিণত করে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার যেভাবে বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই ভাবেই আজ বাম ছাত্র, যুবদের সভা আটকানো হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে।
এদিকে এসএফআই, ডিওয়াইএফের কর্মীরা তেতে রয়েছেন। সোমবার থেকেই দূরের জেলাগুলি থেকে সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। সোমবার আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের গ্রাম থেকে মিছিল শুরু হয়। তাতে আনিসের বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা রয়েছেন। মিছিলে ছাত্র এবং যুব সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বও ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং তৃণমূল অনেক জায়গায় মিছিল আটকানোর চেষ্টা করছে। ছাত্র, যুব নেতাদের হুঁশিয়ারি, বাধা দিলে তার দায় প্রশাসনের। সমাবেশে বক্তা হিসেবে ছাত্র, যুব নেতারা ছাড়াও থাকছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।