লন্ডন: একটি কুকুরের ঘ্রাণশক্তি (sense of smell) মানুষের তুলনায় প্রায় হাজার গুণ বেশি সংবেদনশীল হয়। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় তারা অনেক সহজেই বিভিন্ন জিনিসের গন্ধ (Smell) চিনতে পারে, এমনকি যে কোনও সংক্রমণেরও। মেডিকেল ডিটেকশন ডগস (MDG) নামে একটি ব্রিটিশ সংস্থা, কুকুরের (Dog) শক্তিশালী ঘ্রাণক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। সাধারণত কুকুরের ঘ্রাণশক্তিকে কাজে লাগানো হয় মরদেহ তদন্তের জন্য। কুকুরের এই ভাবে গন্ধ শুঁকে কোনও জিনিস বা ভাইরাস খুঁজে বের করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় বায়োডিটেকশন।
সংস্থাটি তার কুকুরদের শনাক্ত করার জন্য যে ধরনের রোগ শনাক্তকরণের প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নাটস অ্যালার্জি থেকে শুরু করে রক্তের গ্লুকোজের পরিবর্তন (যেমন ডায়াবেটিস), ম্যালেরিয়া, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার এবং হৃদরোগও। তবে আরও একটি বিষয় সম্প্রতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা হল কোভিড-১৯।
আরও পড়ুন: Buzz Aldrin Marries: ৯৩ বছর বয়সে বিয়ে করলেন চন্দ্রাভিযানের নায়ক এডুইন অলড্রিন
মেডিক্যাল ডিটেকশন ডগস সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে কুকুরের দ্বারা চিকিৎসার রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেই। ২০০৮ সালে এই সংস্থাটি শুরু হওয়ার পর, মোট ২৮ ধরনের রোগের সন্ধান মিলেছে। এর ফলাফল তাদের ২০২৩ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে দেয়।
এই সংস্থার মতে, “মেডিকেল ডিটেকশন কুকুররা তাদের আশ্চর্যজনক ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে জীবন বাঁচায়। তাদের নাক খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন রোগের গন্ধ চিনে ফেলে। যা কি না অন্যান্য বায়োসেন্সরগুলির তুলনায় অনেক দ্রুত এবং সঠিক।
মেডিক্যাল ডিটেকশন ডগসের সিইও জানান, আমরা বহু শতাব্দী ধরে যা শিখেছি তা হল বিভিন্ন রোগের অনন্য গন্ধ রয়েছে। আমরা এখন বুঝতে পেরেছি যে, কুকুরদের এই অবিশ্বাস্য ঘ্রাণশক্তি চিকিৎসাব্যবস্থার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া যেতে পারে রোগ খুঁজে বার করার জন্য।
তাঁর আরও সংযোজন, আমরা সম্ভবত চায়ের কাপে এক চামচ চিনির গন্ধ পেতে পারি। কিন্তু একটি কুকুর অলিম্পিকের সুইমিং পুলের সমতুল্য এক চা চামচে চিনির গন্ধ পেতে পারে।