গুয়াহাটি: মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। ঠিক তাই। ২০১২ সালের পর ২০২৩। ফের এক বিজেপি বিধায়ককে (BJP MLA) বিধানসভায় (Tripura Assembly) বসে নীল ছবি (Porn Film) দেখতে দেখা গেল। হাতে মোবাইল নিয়ে বিধানসভার কাজ চলাকালীন তিনি মগ্ন পর্ন ছবি দেখতে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে। আর এই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ধরনের কলুষিত মনের বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন দুনিয়ার নেট নাগরিকরা (Netizens)।
স্বাভাবিকভাবেই উত্তর-পূর্বের ছোট্ট এই পাহাড়ি রাজ্যে বিপুল জনসমর্থনে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকারেও লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। আগরতলা থেকে দ্রুত খবর পৌঁছেছে রাজধানীতেও। দলের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে রামনবমীর পুণ্যদিনে দলীয় বিধায়কের এই কীর্তিতে যথেষ্ট লাঞ্ছনায় পড়তে হয়েছে রামভক্তের দলকে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee at Dharna | ক্ষমতা নয়, সরকার নয়, তৃণমূলই মমতার প্রাণ, ধরনায় বুঝিয়ে দিলেন নেত্রী
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উত্তর ত্রিপুরার বাগবাসার (Bagbasa of North Tripura) বিধায়ক প্রৌঢ় যাদবলাল নাথ (Jadav Lal Nath) বলেন, তিনি একটি ফোন ধরতেই ওইসব নগ্ন ছবি তাঁর মোবাইলে আপনাআপনি ভেসে ওঠে। তিনি আরও বলেন, আমি জানি বিধানসভা চলাকালীন সভার ভিতরে ফোন ধরা উচিত নয়। কিন্তু কী করব, বারবার একটি ফোন আসছিল। শেষে না পেরে ফোনটা ধরি। আর তখনই ওইসব ছবি আসতে শুরু করি। আমি অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে তখনই তা বন্ধ করে দিই, সাফাইয়ে বলেছেন যাদবলাল নাথ।
তিনিই জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবকে দলের তরফে শোকজ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত নবনির্বাচিত সরকারপক্ষ প্রথম তিনদিনের অধিবেশন ডেকেছিল গত ২৪-২৭ মার্চ। আর উদ্বোধনী ম্যাচেই ছক্কা হাঁকিয়ে ফেললেন শাসকদলের এক বিধায়ক।
বিরোধীরা অবশ্যই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি হয়নি। বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা যথাযথ ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। বিধায়কের চেয়ার পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়ার কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর একটি কথা যদি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মান চলে যায়, তাহলে যে চেয়ারে যাদব বসতেন সেটাকেও গঙ্গাজলে ধোয়া উচিত। ওই চেয়ারে তাঁকে আর বসতে দেওয়াই উচিত নয়। এই একই কারণে ওড়িশার বিধায়ক নবকিশোর দাসকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমাদের দাবি, যাদবের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ৬ বছরের জন্য তাঁর সদস্যপদ খারিজ করা হোক।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ সালে কর্নাটকের ২ বিজেপি মন্ত্রী বিধানসভায় বসে নীল ছবি দেখছিলেন, এমন ছবি ধরা পড়ে। প্রথমে দুই মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হলেও পরে দুজনকেই পুনর্বহাল করে দল।