ওয়াশিংটন: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে (Arunachal Pradesh’s Tawang sector) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চীন সেনা সংঘর্ষ হওয়ার পর দুই দেশই যেভাবে পিছিয়ে এসেছে, তার প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States of America)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারন জাঁ-পিয়ের (White House press secretary Karine Jean-Pierre) জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতি নিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ (Closely Monitoring the Situation) চালাচ্ছে এবং উভয় পক্ষকেই বিতর্কিত সীমানা প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চ্যানেলগুলি (Existing Bilateral Channels) ব্যবহারের উৎসাহিত করছে। গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ভারত ও চীনের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, তাতে উভয় পক্ষের সামরিক বাহিনীর সেনারা (Troops of the Armed Forces) সামান্য আহত (Injured) হন।
আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষ (India-China Clash) প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ স্পষ্ট করে দিতে ক্যারিন জাঁ-পিয়েরের বক্তব্য, “আমরা আনন্দিত যে উভয় পক্ষই সংঘর্ষের পর দ্রুত সরে এসেছে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছি এবং ভারত ও চীনকে উৎসাহিত করছি বিদ্যমান চ্যানেলগুলি আলোচনার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য উৎসাহ দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন: CBI Custodial death: লালনের স্ত্রীর অভিযোগে সিবিআইয়ের ৭ আধিকারিকের নামে খুনসহ মামলা দায়ের
শুক্রবার ভারত-চীন সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা চীনকে যোগ্য জবাব দিয়েছেন। আহতদের সংখ্যায় ভারতীয় সেনাবিহিনীর (Indian Army) তুলনায় চীনা সেনার সংখ্যাই বেশি। প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh) বলেছেন, অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে ইয়্যাংৎসে অঞ্চলে (Yangtse area) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Actual Control – LAC) চীনা সেনাবাহিনীকে ভারতীয় সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে আটকে দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি সংসদে এবিষয়ে বলেন, “আমি কক্ষকে আশ্বস্ত করতে চাই, কোনও ভারতীয় সেনা প্রাণ হারাননি অথবা গুরুতর আহত হননি। আমি কক্ষকে এই আশ্বাসও দিতে চাই যে আমাদের সেনাবাহিনী দেশের ক্ষেত্রীয় অখণ্ডতা (Country’s Territorial Integrity) রক্ষা করতে পারেন। আমাদের সেনা সীমালঙ্ঘন রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কক্ষ আমাকে সমর্থন করবে।”
উল্লেখ্য, চীনের সামরিক বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (People’s Liberation Army – PLA ) গত শুক্রবার যখন প্রকৃত সীমারেখায় স্থিতাবস্থা (status quo) লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে, তখন ভারতীয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি ইউনিটের জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর রাইফেলস (Jammu and Kashmir Rifles), জাট রেজিমেন্ট (Jat Regiment) এবং শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি (Sikh Light Infantry) তা প্রতিহত করে। লাঠি ও অন্যান্য হাতিয়ার নিয়ে চীনা সেনারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার জন্য এগিয়ে এসেছিল। ভারতীয় সেনারাও সেসময় প্রস্তুত ছিল যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য। খবরে প্রকাশ, চীন জানত যে ভারতীয় সেনারা সে সময় সেখানে উপস্থিত রয়েছে, তবুও তারা স্থিতাবস্থা নষ্টের চেষ্টা করে সেদিন। চীনা সেনাবাহিনী প্রতি বছরই ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করে। তাদের দাবি ওই অঞ্চল তাদের, কিন্তু ভারতও কোনওভাবেই নিজের ভূখণ্ডের একচুল জমি ছাড়তে রাজি নয়।