কলকাতা: গুজরাতে মোরবি শহরে ঝুলন্ত সাঁকো ভেঙে প্রায় দেড় শতাধিক মৃত্যুর পর সতর্ক নবান্ন। রবিবার সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনার পরদিনই রাজ্যের পূর্ত দফতর সোমবার রাজ্যের সমস্ত ঝুলন্ত সেতুগুলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করে। আজ, মঙ্গলবার সেই রিপোর্টের উপর পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মন্ত্রী পুলক রায়।
মূলত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিভিন্ন খরস্রোতা নদী ও ঝোরার উপর এ ধরনের ঝুলন্ত সেতু বা সাঁকো রয়েছে। প্রতিদিন বহু মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুগুলি। কিন্তু, মোরবির ভেঙে পড়া সেতুর মতো বহু সাঁকোই রয়েছে ব্রিটিশ আমলের। দীর্ঘদিন সেগুলির সংস্কার হয়নি। তাই এবার সেগুলির অবস্থা কেমন, তা জানতে চায় রাজ্য।
তরাই ও ডুয়ার্সের জঙ্গল এলাকায় এবং দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকার এই সেতুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জেলার পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন দফতরের মন্ত্রী। সেইমতো আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ভার্চুয়ালি জেলার ইঞ্জিনিয়াররা ছাড়াও শীর্ষ আমলারা উপস্থিত থাকবেন।
পুলক রায় সাঁকোগুলির হাল ছাড়াও শেষ কবে, কোন সাঁকোর মেরামত হয়েছে, মেরামতের পর এখন সেগুলির কী দশা তা বিস্তারিতে জানতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, কলকাতা শহরে পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার থেকেই নিয়মিত সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কিছুদিন আগেই দীর্ঘ মেরামতের পর খুলে দেওয়া হয়েছে টালা ব্রিজ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোরবির মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে তাই রাজ্য আগেভাগেই সতর্ক হতে চাইছে।