রবিবার বিকেলে কলকাতার গঙ্গার ঘাটে ছটপুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক বছর ধরেই মমতা দইঘাট ও তক্তাঘাটে ছটপুজোর অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেই মতো এদিনও দুটি ঘাটে এসে অগণিত অবাঙালি হিন্দিভাষী মানুষকে ছটপুজোর অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ শান্তনু সেন, সুব্রত বক্সি, দেবাশিস কুমার প্রমুখ। শিলিগুড়ি থেকে রাজ্যের সব ঘাটে পুজোর বন্দোবস্ত করে দিয়েছে সরকার।
দুটি অনুষ্ঠানেই মমতা রাজ্যের সর্বভাষা, ধর্ম সম্বন্বয়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাঙালতেই এরকম সব ভাষা, ও বর্ণের, ধর্মের মানুষকে একই সঙ্গে যে কোনও উতসবে মেতে উঠতে দেখা যায়। এখানে যে উদ্যমে দুর্গাপুজো হয়, একই ভাবে কালীপুজো হয়েছে, সামনে আসছে জগদ্ধাত্রী পুজো আর এখন চলছে ছটপুজো। এখানকার মানুষ ইদেও যোগদান করেন, আবার অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। মজার ছলে গতবারের মত এবারও মমতা বলেন, “আপনারা যে ঠেকুয়া বানান তা খেতে খুব ভাল। কিন্তু আমাকে প্রসাদ হিসেবে খুব অল্প পাঠাবেন। এত বেশি ঠেকুয়া খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়।”
আরও পড়ুন-Ghatal Woman Farmer: কাস্তে কান ফুঁড়ে মাথায়, ঘাটালে গুরুতর জখম মহিলা
ছটপুজোর অনুষ্ঠানে এসে প্রতিবারের মত এবারও মমতা প্রতিমায় আরতি করেন। দু জায়গাতেই ভাষণে তিনি পূন্যার্থীদের প্রতি সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেন। মমতার কথায় আপনারা আস্তে আস্তে গঙ্গার ঘাটে আসুন, শান্তভাবে পুজো দিন এবং একইভাবে ধীরে ধীরে ঘরের উদ্দেশে রওনা দিন। হুড়োহুড়ি করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায় আজকের মত আনন্দের দিনে সেটা না হওয়াই কাম্য। এই বলে তিনি পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রওনা দেন।