কলকাতা: বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি প্রাক্তন আইএএস। লা গণেশন পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি (president) ভবন এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar) উপরাষ্ট্রপতি হন। এরপর বাংলায় অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন গণেশন (la ganeshan)। কেরালায় (kerala) জন্ম। ৭১ বছর বয়সী এই প্রাক্তন আমলা ভারত সরকারে সচিব হিসে্বে কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয়ের সরকারের উপদেষ্টা পদে কাজ করছিলেন।
২০১৯ সালে জগদীপ ধনখড় এই রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসেন। একেবারে প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসকদলের বিরোধের সূত্রপাত। নানা ঘটনায় তিনি বারবার শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন। এমনকি, বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তাঁর আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ যাননি বিধানসভার স্পিকারও। নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত এতটাই তীব্র হয় যে, ধনখড়কে সরানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত সাতবার চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। শাসকদলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে দরবার করা হয় রাষ্ট্রপতির কাছেও।
আরও পড়ুন: TMC: নিশীথের গ্রেফতারি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করতে চায় তৃণমূল
রাজ্যপালের (governor) সঙ্গে সরকারের মূল বিরোধ ছিল শিক্ষা ব্যবস্থা্ নিয়ে। সরকারের অভিযোগ ছিল, শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করছেন। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা একাধিকবার ধনখড়কে বিজেপির দালাল বলেও অভিহিত করেন। পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্যে বিল এনে বিধানসভায় পাশ করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি (vice president) নির্বাচনে প্রার্থী হন। বিরোধী জোটের প্রার্থী ছিলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল ভোট দানে বিরত থাকে। জয় হয় ধনখড়ের। এরপর অস্থায়ী রাজ্যপাল করে পাঠানো হয় লা গণেশনকে। তাঁর সঙ্গে অবশ্য সরকারের সম্পর্ক ভালোই ছিল। এই কমাসে তিনি শাসকদলের সঙ্গে তিনি কোনও বিতর্কে জড়াননি। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) চূড়ান্ত সৌজন্যের পরিচয় দেন। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ স্থায়ী রাজ্যপাল পেল।