কলকাতা: যত সময় গড়াচ্ছে, ততই হৈমন্তী (Haimanti) রহস্যের জাল জটিল হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chattopadhyay) বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpitta Mukhopadhyay) যদি দুটি ফ্ল্যাটের (Flat) হদিশ পেয়ে থাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তবে তারা হৈমম্তীর কত বাড়ির সন্ধান পাবে, জানা নেই। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুধু হাওড়ার বাকসাড়া নয়, কলকাতার টালিগঞ্জ (Tolligunje) থেকে শুরু করে বেহালা (Behala),মুম্বই (Mumbai) কোথায় না বাড়ি আছে হৈমন্তীর। অর্পিতার মতোই লেক টাউনেই হৈমন্তীরও একটি বিউটি পার্লার (Beauti Parlour) রয়েছে।
কিন্তু খোঁজ (Tress) মিলছে না হৈমন্তীর। শুক্রবার খোঁজ পেয়ে হানা দেওয়া হয়েছিল হৈমন্তীর বাকসাড়ার বাড়িতে। সেখানে এক বৃদ্ধা নিজেকে হৈমন্তীর মা (Mother) বলে পরিচয় দিয়ে যা বললেন, তাতে বিভ্রান্তি বাড়ল। তিনি একবার বললেন, মেয়ে আমার মারা গিয়েছে। আবার পরে তিনি বলেন, বাড়ির অমতে বিয়ে করায় বড় মেয়ে হৈমন্তীর কোনও সম্পর্ক (Relation) রাখি না আমরা। কখনও আবার তাঁর মুথে শোনা গেল, সিবিআই (CBI) ডাকলে মেয়ে অবশ্যই যাবে। তবে কি হৈমন্তী বাড়িতেই আছেন? বৃদ্ধা বললেন, না, বাড়িতে নেই। তিনি এ কথা বললেও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তিনদিন আগেও হৈমন্তী বাড়িতে এসেছিল।
আরও পড়ুন: National Science Day 2023: জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালন করবে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইইউসিএএ
এদিকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল হৈমন্তীর সঙ্গে। প্রথমে একবারের জন্য হ্যালো হ্যালো শব্দ শোনা গিয়েছে। তারপর আর ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গেও হৈমন্তীর সেল্ফি পাওয়া গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন বলেন, আমি কী করে বলি, কে কখন আমার সঙ্গে ছবি তুলছে। আমাকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রসের সভানেত্রী করে দিলে আমি অনেক মহিলা জড়ো করতে পারতাম। তিনি আরও বলেন, হৈমন্তী মদন মিত্রের সঙ্গে কখন ছবি তুলল, এসব না জেনে অনেক বেশি রহস্য হল, কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি, এরা কারা। এরা কি তৃণমূলের? নাকি সিপিএম এদের ছলে বলে কৌশলে বৃহন্নলার মতো ড্রেস পরিয়ে রেখেছে।