নয়াদিল্লি : চলতি বছরে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের (Maiden Pharmaceuticals Ltd) তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়াতে (Gambia) ৬৯জন শিশুর মৃত্যু হয়৷ এরপর সংস্থার সোনেপতের ওষুধ তৈরির কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ শুক্রবার (Friday) মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের তরফে ফের ওই কারখানা খোলার ছাড়পত্র পেতে আবেদন করা হয়েছে৷ কেননা সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পরে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি কাফ সিরাপগুলিতে কোনও দোষ ধরা পড়েনি৷
কাফ সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় (Gambia) শিশুমৃত্যুর ঘটনার পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের তির ছিল মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের দিকেই৷ অভিযোগ উঠেছিল, ওই কাফ সিরাপগুলিতে ডায়েথিলিন গ্লাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকলের মতো দূষিত পদার্থ থাকায় এতগুলি শিশু বেঘোরে মারা (death) গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: Amit Shah Meeting: আজ রাতে রাজ্যে অমিত শাহ, কাল নবান্নে মমতার মুখোমুখি
সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া ডিজিসিআই (DGCI) ভিজি সোমানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO) লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, মেডেন ফামাসিউটিক্যালের সোনেপতের কারখানা থেকে কাফ সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার পরে কোনও দূষিত রাসায়নিক মেলেনি৷ কাফ সিরাপে ডায়েলিথিন গ্লাইকল কিংবা এথিলিন গ্লাইকল নেই৷
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DGCI) তরফে পাঠানো ওই চিঠি (letter) নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)৷ ওই চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে, গত অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি কাফ সিরাপে ডায়েথিলিন গ্লাইকল, এথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গিয়েছে বলে যে অভিযোগ তুলেছে, তা ভারতীয় ওষুধশিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷
অন্যদিকে, সোনেপতের কারথানা খোলার অনুমতি চেয়ে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (Managing Director) নরেশ কুমার গয়ালের বক্তব্য, আমরা কোনও অপরাধ করিনি৷ বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পুরোপুরি আস্থা আছে৷