কলকাতা: দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেও শিল্পমন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনই তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা নেবে না৷ তবে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব পার্থ সম্পর্কে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে জানান, যে মহিলার বাড়িতে টাকা পাওয়া গিয়েছে তিনি তৃণমূলের কেউ নন৷ ওই টাকার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ ওই বিষয়ে কাউকে কাউকে জড়িয়ে যে অভিযোগ জানানো হচ্ছে সে ব্যাপারে তাঁদের আইনজীবীরা বক্তব্য জানিয়ে দেবেন৷ দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে৷ আদালতের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷’ তাঁর মতে, গোটা বিষয়টি বিজেপির চক্রান্ত৷ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ দেখে আতঙ্কিত হয়ে বিজেপি এসব করে বেড়াচ্ছে৷ তাঁর দাবি, দল অটুট এবং ঐক্যবদ্ধ আছে৷ ঐক্যবদ্ধভাবেই দল ওই চক্রান্তের মোকাবিলা করবে৷
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ ফিরহাদ বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় দু’মাস আগে বিজেপিতে যোগ দিলে আজ তাঁকে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হত না৷ আমিও তৃণমূল ছাড়িনি বলে আমাকে জেলে যেতে হয়েছে৷ অথচ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷’
কুণাল বলেন, এত বিপুল টাকা কোথা থেকে পাওয়া গেল, কীভাবে পাওয়া গেল, তার উৎস কী এসবেরও বিশদ তদন্ত হওয়া দরকার৷ ইডি সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্ত দীর্ঘায়িত করে৷ আমাদের দাবি, একমাস-দু’মাসের মধ্যে দ্রুত তদন্ত শেষ করে সংস্থাগুলিকে আদালতে তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে৷ তদন্ত দীর্ঘায়িত করা চলবে না৷ ফিরহাদ বলেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন যে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে দফায় দফায় টাকা নিয়েছে৷ আজ পর্যন্ত সেই অভিযোগ নিয়ে ইডি-সিবিআই কোনও তদন্ত করেনি৷ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির এই দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে৷ তৃণমূল নেতৃত্ব বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, ‘ওরা নিজেরাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত৷ ওদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই৷ ওরা আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুক৷’