কলকাতা: মাঘ মাসে মুখ লুকিয়েছে শীত (Winter)। এমন কি কেউ দেখেছ? এ বছর বঙ্গের আবহাওয়ায় (West Bengal Weather) সেই চূড়ান্ত তুঘলকিপনা দেখল রাজ্যবাসী। পৌষের দিন চারেক তাপমাত্রা নামায় উদ্বেলিত হওয়ার আগেই পালাই পালাই করছে ঠান্ডা। এখনই প্রায় পুরোদস্তুর বসন্তের ফুরফুরে প্রকৃতি। ভরদুপুরে আরামদায়ক এবং সন্ধ্যার পর থেকে মনভালো করে দেওয়া ঠান্ডা। গায়ে গরম জামা রাখতে হচ্ছে, আবার খুলে ফেলতে হচ্ছে। এই তুঘলকি মেজাজেই হালকা বৃদ্ধি আবার হালকা পতনের উপর দিয়ে পারদের খামখেয়ালিপনা চলছে। আর যার জেরে বাচ্চা ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগভোগ করছেন। হাঁচি, কাশি, সর্দিতে জেরবার বঙ্গবীররা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। সপ্তাহভর শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ কমবে। বাড়বে উষ্ণতা। অর্থাৎ পুরোদস্তুর ‘বসন্ত এসে গেছে’ গান গাইবার সময়। অথচ, প্রবাদে আছে মাঘের শীত বাঘের গায়ে। কিন্তু এতো দেখা যাচ্ছে এক মাঘেই শীত পালানোর জোগাড়।
আরও পড়ুন: Kolkata: কোনওদিন তাদের ক্ষমা করতে পারব না, লিখে ছাদ থেকে মরণঝাঁপ প্রাক্তন বিমানসেবিকার
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দিনের বেলায় শীতের আমেজ উধাও হবে। একরাতের মধ্যে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ল। রীতিমতো উষ্ণতার ছোঁয়া থাকবে কলকাতায়। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৪ থেকে ৯৪ শতাংশ।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার পিছনে রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এখানেই রক্ষে নেই, আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ওপর। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায়। যে কারণেই উত্তুরে হাওয়া পথ রোধ করে রয়েছে জোড়া ঝঞ্ঝা। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, কাশ্মীর উপত্যকা, মুজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে মঙ্গল ও বুধবারে প্রবল তুষারপাতের সম্ভাবনা।
শিলাবৃষ্টি সহ দুর্যোগে বিপর্যস্ত হবে উত্তর-পশ্চিম ভারত। সোমবার ও মঙ্গলবার ব্যাপক শিলাবৃষ্টি জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, মোজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে। মঙ্গলবার প্রচুর শিলাবৃষ্টি হবে উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে।