তমলুকঃ বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে লেখা চিঠি সদ্য সামনে এসেছে। চিঠির ছত্রে ছত্রে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ এনেছেন সায়ন্তন। তারই মধ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে বিজেপির আহ্বায়ক দল ছাড়ার কথা জানালেন। বিজেপি রাজ্যে ব্যক্তিতান্ত্রিক হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন বটকৃষ্ণ দাস। তাঁর অভিযোগ, পুরনো নেতারা দলে কোনও জায়গা পাচ্ছেন না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর কাজে তিতিবিরক্ত হয়েই তিনি দল ছাড়লেন বলে জানিয়েছেন বটকৃষ্ণ দাস।
আরও পড়ুন Morbi Setu: বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই জয়সুখভাইকে সেতু সংস্কারের বরাত?
একইসঙ্গে এদিন বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির পর্যবেক্ষক জয়দেব দাস। গত ২২ অক্টোবর বিজেপির পদ ছেড়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ কর্মী হবেন বলে বিজেপিতে এসে একচ্ছত্র রাজত্ব করছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁদের সঙ্গে বিজেপির ৬০ জন বিভিন্ন পদাধিকারী এদিন বিজেপি ত্যাগ করলেন। মঙ্গলবার তমলুকের নিমতৌড়ির স্মৃতি সৌধের হল ঘরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওই দুই বিজেপি নেতা।
তাঁরা বলেন, আমাদের সঙ্গে আরও ৬০ জন দল ছাড়ছেন। আমরা দেশের জন্য, পার্টির স্বার্থে রাজনীতি করতাম। কিন্তু শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করার সময় বলেছিলেন, দলের কর্মী হয়ে দেওয়াল লিখন, পোষ্টার মারার কাজ করতে রাজি। অথচ দলে যোগদান করার পর তিনি একাই ছড়ি ঘুরিয়ে যাচ্ছেন। আমরা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়গুলো জানিয়েছি। কিন্তু, তাঁরা কোনও কর্ণপাত করেননি।