বালি: ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধবিরতি (ceasefire) ও কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করার উপর জোর দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে (Indonesia’s Bali) বার্ষিক জি-২০ (G-20) সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সামনে এই প্রস্তাব তুলে ধরলেন মোদি। এদিন থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে দুদিন ধরে কোভিড (Covid 19) পরবর্তী ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন শীর্ষ রাষ্ট্রনেতারা।
সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেন নিয়ে এই সম্মেলনে প্রস্তাব গৃহীত হতে পারে, এই আঁচ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) জি-২০ বৈঠকে নাও আসতে পারেন। কিন্তু, রাশিয়াই এই সম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চলেছে। কারণ, ইউক্রেনে হামলা নিয়ে বিশ্বনেতারা আপাতত দ্বিধাবিভক্তই আছেন।
আরও পড়ুন: Taiwan: তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন সীমা লঙ্ঘন না করে, জিনপিংয়ের কড়া বার্তা বাইডেনকে
সম্মেলনে মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ, আবহাওয়া পরিবর্তন এবং কোভিডের ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে যে প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, আজ গোটা বিশ্ব জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির দিকে বহু আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, শক্তিশালী এই গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব ইন্দোনেশিয়ার হাত থেকে ভারতের কাছে আসছে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। প্রধানমন্ত্রী এদিন কোভিড ও যুদ্ধের ফলে খাদ্যশস্য, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ ঘাটতির উপর জোর দেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ ক্ষেত্রে এক বিরাট ছেদ পড়েছে। সব দেশেরই গরিব মানুষের উপর বাড়তি বোঝা চাপিয়েছে এই পরিস্থিতি। তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা দুঃসহ হয়ে উঠেছে।
At the @g20org Summit this morning, spoke at the session on Food and Energy Security. Highlighted India’s efforts to further food security for our citizens. Also spoke about the need to ensure adequate supply chains as far as food and fertilisers are concerned. pic.twitter.com/KmXkeVltQo
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2022
ইউক্রেন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ক্রমাগত বলে আসছি যুদ্ধবিরতি ও কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের সম্মলিতভাবে পথ খুঁজে বের করতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর কী ক্ষতি করেছিল, তা আমরা দেখেছি। এরপর তখনকার বিশ্বনেতারা শান্তির পথ খুঁজে বের করেছিলেন। এখন সেটাই আমাদের কাজ। কোভিড পরবর্তী পৃথিবীকে পুনরুজ্জীবন দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে ন্যস্ত। পৃথিবীব্যাপী সংকট সমাধানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো সংস্থাগুলি ব্যর্থ, এটাও জোরের সঙ্গে দাবি করেন মোদি।