দিল্লি: একের পর এক অভিযোগ জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে। যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে আগেই। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন দেশের অন্যতম সেরা কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। তাঁর অপসারণ, তদন্ত কমিটি গঠন-সহ একাধিক দাবিতে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) সভাপতি পিটি ঊষাকে চিঠিও দিয়েছেন প্রতিবাদী কুস্তিগিররা। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করা হলেও এফআইআর করা হয়নি কুস্তিগিরদের পক্ষ থেকে।
বজরং বলেন, ‘অতীতে আমাদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সেই ভয়ে এত দিন আমরা জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতির সমর্থনে কথা বলতে বাধ্য হতাম। এখন আমরা দাবি আদায়ের জন্য আইনি লড়াই করতেও রাজি।‘
এই প্রসঙ্গে পিটি ঊষা বলেছেন, ‘গোটা বিষয়টা খুব চিন্তার। ক্রীড়া এবং যুব দফতর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোয় আমি আশ্বস্ত। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংস্থার জবাব তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি নিশ্চিত দ্রুত এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। আইওএ সভাপতি হিসাবে আশা করব, খেলোয়াড়দের অধিকার কখনও ক্ষুণ্ণ হবে না। জাতীয় কুস্তি সংস্থা সত্যের সন্ধানে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে আশা করি। দেশের খেলাধুলার স্বার্থেই এটা হওয়া উচিত।’
অন্যদিকে, গতকাল দিল্লির ধরনা মঞ্চ থেকে ভিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়ারা সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতকে নামিয়ে দিলেন। কুস্তিগিরদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হতে চেয়েছিলেন বৃন্দা। কিন্তু এটি যে ক্রীড়াবিদদের প্রতিবাদ, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয় বাম নেত্রীকে। বৃন্দা যন্তর মন্তরে যান কুস্তিগিরদের ধরনা মঞ্চে। কুস্তি ফেডারেশনের অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বজরং, সাক্ষী মালিকরা। মাইক নিয়ে কিছু বলতে গেলে বৃন্দাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ‘‘এখানে আমাদের হয়ে আপনাকে কিছু বলতে হবে না। এটা একেবারেই আমাদের প্রতিবাদের মঞ্চ। এই জায়গায় আমরা রাজনীতির মানুষদের অংশগ্রহণ চাইছি না।’’
অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। বৈঠক শেষ আমরা সাংবাদিকদের সবকিছু জানিয়ে দেব। তার আগে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণ চাইছি না।’’
গত বুধবার কোচ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার গুরুতর অভিযোগ আনেন ভিনেশ ফোগত। তিনি বলেন, ‘‘ফেডারেশন সভাপতি নিজেই মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানি করেন। তিনি কী করে আমাদের মতো মহিলাদের সুরক্ষা প্রদান করবেন।’’