ছুটির দিনে পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখেতে দেখতে মুখরোচক খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে একটানা এ ভাবে মুখ চালিয়ে যাওয়ার একদিনের অভ্যেস যদি সপ্তাহের বাদ বাকি দিনও চলে তা হলে সামনে কিন্তু বড় বিপদ। সতর্ক হতে হবে। শরীরের প্রয়োজনে নিয়ম মেনে তিন বেলার আহার সেরে মাঝে মধ্যেই যে মুখরোচক বা প্যাকেজড খাবারের দিকে আমরা ঝুঁকি তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপুষ্টিকর। তা ছাড়া এই খাবারগুলো আমাদের ভীষণ ভাবে অলসও করে দেয়।
এম্পটি ক্যালোরি ফুড (empty calorie food)
আর এই ধরনের খাবারকে বলা হয় এম্পটি ক্যালোরি ফুড(empty calorie food)। যে খাবার বা পানীয়তে হয় চিনি বা অ্যালকোহল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। আর পুষ্টি নেই বললেই চলে। এই খাবার যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তা হলে কার্ডিওভাস্কুলার, লাইফস্টাইল ও হরমোন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ওজন বৃদ্ধি ও পেট ফোলার মতো সমস্যা তো হতে বাধ্য।
কোন ধরনের খাবারে এম্পটি ক্যালোরি
- প্রচুর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন খাদ্যদ্রব্য যেমন মাফিনস, কেক ও পেস্ট্রি।
- চিনিযুক্ত পানীয় যেমন সোডা, এনার্জি ড্রিংক ও ফলের রস।
- ক্যান্ডি বার, চকোলেট বার, হার্ড ক্যান্ডি
- বিশেষ ধরনের মাংস যেমন বেকন, সসেজ ও হট ডগ।
- এমনকি ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন মাখন, আইসক্রিম
- প্রসেস্ড অয়েল যেমন সয়াবিন, ক্যানোলা অয়েল,
- প্রসেস্ড সস যেমন কেচাপ, বার্বেকিউ সস, অ্যালকোহল নির্ভর পানীয়
- অধিকাংশ ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড যেমন বার্গার, চিপস ও পিত্জা।
এই খাবারগুলোতে চিনির পরিমাণ এত বেশি থাকে যে সহজেই এই খাবারগুলোর প্রতি আমরা আসক্ত হয়ে পড়ি। তখন টাটকা ও তাজা খাবারও বিস্বাদ লাগে।
তাই এই সব খাবারের বদলে অফিসে কাজের ফাঁকে কিংবা বাড়িতে দুপুরের খাবারের পর মন খাই খাই করলে হাতের কাছে রাখুন মুখরোচক খাবারের এই সব হেলদি অলটারনেটিভ যেমন-
- চিনি দেওয়া ইয়গহার্টের বদলে সুগারফ্রি ইয়গহার্ট খেতে পারেন
- চটজলদি পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে মুইসলি বেশ জনপ্রিয়। তবে বাজার থেকে মুইসলি কিনলেই তাতে থাকবে প্রচুর চিনি৷ পরিবর্তে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন মুইসলি।
- কুকিজের বদলে মিনি গ্লুটেন ফ্রি স্ন্যাক্স খেতে পারেন।
- ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের বদলে খেতে পারেন রাঙা আলুর এয়ার ফ্রাই।
প্রয়োজনে মুখরোচক খাবারের হেলদি অলটারনেটিভ নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাঁর পরামর্শ মতো খাবার বাছুন।