নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেক অব্যবহৃত ‘মেয়াদ’ ফুরিয়ে যাওয়া টিকা নতুন করে ব্যবহার করছে? এই অভিযোগ ঘিরে চাপান উতোর চরমে। মিডিয়ার একাংশের দাবি, অব্যবহৃত কোভ্যাকসিন টিকাকে নতুন করে লেবেল সেঁটে তাকে টিকাকরণের কাজে লাগানো হচ্ছে। কেন্দ্র এই রিপোর্টকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে খারিজ করে দিয়েছে।
এটা ঠিকই, কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দুই টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়িয়েছে ডিসিজিআই অর্থাৎ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও জাতীয় রেগুলেটর। কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মেয়াদ ন’মাস থেকে বাড়িয়ে ১২ মাস করা হয়েছে। একই ভাবে কোভিশিল্ডের মেয়াদ ছ’মাস থেকে বাড়িয়ে ৯ মাস করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনও কোভ্যাকসিন টিকা যদি গত বছরের এপ্রিলে উৎপাদিত হয়ে থাকে তা হলে এতদিন তার মেয়াদ ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু নতুন নিয়মে ওই একই কোভ্যাকসিনের মেয়াদ বেড়ে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে তা হলে কি এই নিয়মের সুযোগ নিয়ে কোনও বেনিয়ম ঘটছে?
Another feather in the cap of India’s vaccination drive
Over 40 Lakhs between 15-18 age group received their first dose of COVID19 vaccine on the 1st day of vaccination drive for children, till 8 PM.@mansukhmandviya pic.twitter.com/iJy7t9iGcp
— Prasar Bharati News Services & Digital Platform (@PBNS_India) January 3, 2022
এই নতুন নিয়মের পর, পুরনো পড়ে থাকা অব্যবহৃত ভ্যাকসিনের খোঁজ যে পড়বে সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। বিশেষ করে নতুন বছরের একেবারে গোড়া থেকেই পনেরো থেকে আঠারো বয়সীদের টিকাকরণের কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। প্রথম দিনেই চল্লিশ লক্ষেরও বেশি সংখ্যক নাবালককে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে চলছে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ। দেশের একশো চল্লিশ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক এখনও দু’টি করে টিকা পাননি। এই বিপুল পরিমাণ টিকা অভিযান কর্মসূচি বাস্তবে খাতায় কলমে দেখাতে গেলে প্রতিদিনই প্রায় কোটি সংখ্যক টিকার প্রয়োজন।
অভিযোগ উঠেছে চেন্নাইয়ের কিছু বেসকরকারি হাসপাতাল মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া টিকা ব্যবহার করছেন। আর তা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে ভারত বায়োটেক পুরনো অব্যবহৃত ভ্যাকসিনের গায়ে নতুন তারিখের লেবেল সাঁটিয়ে কাজে লাগাচ্ছে। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার তারিখ আপডেট করে দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রে একটি প্রেস বিবৃতিতে সোমবার জানিয়ে দিয়েছে এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দুই টিকাই যে তাদের কার্যকারিতা ফুরনোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়েছে, সেই তথ্য বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে কেন্দ্র।
