বর্তমানে প্রতি ৩ জন ব্যক্তির মধ্যে ১ জন আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন। সাধারণত একটানা অনেক্ষন বসে থাকা, শারীরিক ভাবে সক্রিয়তা না থাকায় এই হাড়ের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে মানুষের মাথার যন্ত্রনা। তবে অল্পবয়সীদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসের কারণ মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। সেই সঙ্গে রয়েছে পুষ্টির ঘাটতি। তবে শরীরে আর্থ্রাইটিস থাকে তা কিন্তু মোটেই সহজে পিছু ছাড়ে না। যতই পেনকিলার খাওয়া হোক ফল কিছু হয় না। তবে আর্থ্রাইটিস থাকেল হাদ্যাভ্যাসে যে জিনিস গুলি রাখবেন,
বাদাম: সকালবেলা এক মুঠো বাদাম খান। আখরোট, পেস্তা, আমন্ড সব রাখুন একসঙ্গে। বাদামের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ও আলফা-লিনোলেনিক রয়েছে। যা ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়া আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওআর্থারাইটিসের ব্যথা কমায়।
পালং শাক: কম বয়সিদের মধ্যে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে পালং শাক। এই সুপার ফুডের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দেয়।
ফ্যাটি মাছ: সামুদ্রিক মাছের মধ্যে তেল পাওয়া যায়। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে এবং গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
রসুন: রসুনের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। রসুন দেহে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর প্রদাহ-বিরোধী উপাদান গাঁটের ব্যথা-যন্ত্রণা কমায়। এছাড়া অস্টিওআর্থারাইটিসের উপসর্গকে দূর করে।
লেবু জাতীয় ফল: দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন সি জরুরি। মুসাম্বি লেবু, পাতিলেবু, বাতাবিলেবু, কমলালেবু যে কোনও ধরণের লেবুতে উচ্চ পরিমাণে এই ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি আর্থারাইটিসের প্রদাহ এবং জয়েন্টের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।