কলকাতা: একটা ছোট্ট চিরকুট, তাতে লেখা ‘ইউর ভ্যালেন্টাইন’
মৃত্যুর আগের দিন জুলিয়ার কাছে নিজেকে এভাবেই নিবেদন করেছিলেন ভ্যালেন্টাইন।
২৬৯ সালে রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস ভ্যালেন্টাইনকে (Valentine) বন্দি করেন। কারণ তিনি ছিলেন খ্রিস্টান পাদ্রী ও জনপ্রিয় চিকিৎসক। আর ওই সময় রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম প্রচার ও পাদ্রীদের সঙ্গে মেলামেশা ছিল নিষিদ্ধ ।
এক কারারক্ষী তাঁর দৃষ্টিহীন মেয়ে জুলিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন বন্দি ভ্যালেন্টাইনের কাছে। ভ্যালেন্টাইন (Valentine) সেই মেয়ের চিকিৎসা শুরু করেন। প্রতিদিন তিনি জুলিয়াকে প্রকৃতির রূপ বর্ণনা করে শোনাতেন, রোমের ইতিহাস শোনাতেন। জুলিয়া ভ্যালেন্টাইনের চোখে তাঁর না দেখা পৃথিবীর রূপের কথা অবাক বিস্ময়ে শুনত। ক্রমে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক (Love Relation) তৈরি হয়। কিন্তু হঠাৎ একদিন রোম সম্রাট ভ্যালেন্টাইনের ফাঁসি ঘোষণা করেন। এদিকে ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় জুলিয়ার চোখ ভালো হতে থাক। ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর দিনও এগিয়ে আসতে থাকে। রোম সম্রাটের ঘোষণা করা পূর্বনির্ধারিত দিন অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি (14 February) ভ্যালেন্টাইনের ফাঁসি হয়।
আরও পড়ুন : Extra Ordinary Aadi Swarupa: একইসঙ্গে একাধিক ভাষা দুই হাতে সমানে লিখতে পারেন আদি স্বরূপা
রোমের প্রক্সিদেস গির্জার স্থলে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। কথিত আছে, ভ্যালেন্টাইনের কবরের পাশে জুলিয়া একটি আমন্ড গাছ লাগিয়ে ছিলেন। সেই থেকে আমন্ড গাছকে স্থায়ী প্রেম ও বন্ধুত্বের প্রতীক বলা হয়।
এরপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও প্রথম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে দিন টিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসাবে ঘোষণা করেন।
৭ তারিখ থেকে ভ্যালেন্টাইনকে স্মরণ করা হয় শুরু হয়। ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সপ্তাহকে ‘লাভ উইকও’ বলা হয়। এই সপ্তাহের প্রথম দিন রোজ ডে। এরপর প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে, হাগ ডে, কিস ডে সবশেষে ১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইনস ডে ((Valentine Day)। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলা ফাল্গুন মাসের শুরু । আর দেরি করে লাভ কী? একে তো ফাগুন মাস, দারুণ এ সময়। আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভ্যালেন্টাইনসডে তে বেরিয়ে পড়ুন।