বিশ্বে মৃত্যুর একাধিক কারণের মধ্যে আত্মহত্যা অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রত্যেক বছর কমপক্ষ্যে ৭ লক্ষ্য মানুষ আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয়। বিশেষ করে ১৫ থেকে ১৯ বয়সী কিশোরদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবথেকে বেশি।
জীবনযুদ্ধে নিজেকে অসহায় ভেবে অনেকই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আর এই কাজে শুধু ওই ব্যক্তি নয় এই সিদ্ধান্তে ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলে মৃতের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীদের ওপরও। তবে সঠিক পদক্ষেপ, সচেতনতা, কাউনসিলিংয়ের মাধ্যমে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে। এই লক্ষ্যেই আজকের দিন, ১০ ই সেপ্টেম্বার প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে উদযাপিত হয় ।
Today is #WorldSuicidePreventionDay #Suicide is a global public health issue.
All ages, sexes and regions of the world are affected.There is a lot we can do to prevent suicide https://t.co/r9RvvtGoxp pic.twitter.com/iIZ0EBCWmK
— World Health Organization (WHO) (@WHO) September 10, 2021
মানসিক অসুস্থতার কারণে যেমন এই পথে হাটেন অনেকে তেমনি আবার সাময়িক সমস্যায় আবেগপ্রবণ হয়ে এই পথ বেছে নেন অনেকে। আপনার চেনা পরিচিতের গন্ডির মধ্যে এ রকম মানুষকে কীভাবে চিনবেন? এই নিয়ে সচেতনাতা বাড়াতে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
- যাঁরা নিজেকে ঘন ঘন মেরে ফেলার হুমকি দেন
- “আমি চলে গেলে আমার কথা মনে করে কেও কষ্ট পাবে না”, যাঁরা এই কথা বার বার বলেন
- গুগল হোক বা অন্য কোনও মাধ্যম কীভাবে মৃত্যু বরণ করা যায় এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন, খোজ খবর নেন
- আচমকা কাছের মানুষর কাছে বিদায় চাওয়া, সম্পত্তি বা মূল্যবান জিনিসের মালিকানা হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন কেও
কোনও ব্যক্তির এই ধরনের আচরণ দেখলে সজাগ হোন। তিনি এড়িয়ে গেলেও আপনি কথা বলার চেষ্টা করুন। সে কথা বলতে না চাইলে তাঁকে কাউনসেলারের কাছে নিয়ে যান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী যাঁদের নিয়ে ঝুঁকি বেশি-
- এর আগেও যাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা পুনরায় এই কাজ করার চেষ্টা করবেন।
- অবসাদগ্রস্ত কিংবা মাদকাশক্ত যাঁরা তাঁরা বেশি আত্মহত্যা প্রবণ হয়
- প্রচন্ড ভাবে মানসিক অস্থিরতায় ভুগলে এই পথ বেছে নেন অনেকেই
- দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন এমন কেও
- অনেকেই যাঁরা একাকিত্বে ভোগেন
আপনার পরিচিতদের ব্যবহারে এই লক্ষণগুলি দেখতে পেলে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন–
- সঠিক সময় ও শান্তিপূর্ণ জায়গা খুঁজে আপনার পরিচিতের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁকে আশ্বস্ত করুন যে তাঁর কথা শোনার জন্য আপনি তাঁর পাশে আছেন।
- বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে উত্সাহ দিন। প্রয়োজনে, মেন্টাল হেল্থ এক্সপার্ট, সাইক্রিয়াটিস্ট, কাউনসেলর ও সোশাল ওয়ার্কারের সঙ্গে তাঁর অ্যাপয়ন্টমেন্ট করিয়ে দিন। কথা বলার সময় আপনি তাঁকে সঙ্গ দিন। তিনি যদি আপনার সামনে কথা বলতে অপ্রস্তুত হন তাহলে চিকিত্সকের চেম্বারের বাইরে তাঁর জন্য প্রতিক্ষা করুন। সমস্যার সময়ে তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
- যদি সেরকম পরিস্থিতি বুঝলে তাঁকে একা ছাড়বেন না। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে ইমারজেন্সি বা ক্রাইসিস লাইনে কল করে সাহায্য চেয়ে নিন।