যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতা (opponent) থাক নির্বাচন শুরুর মুখে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানালেন শশী থারুর। সোমবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। তার আগে এদিন সকালেই থারুর ফোন করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে। কয়েক দিন ধরে শশী থারুর অভিযোগ করছিলেন, বিভিন্ন রা্জ্যে তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত কেরলের এই সাংসদ। কিন্তু, তিনি প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রতি এদিন সৌজন্য প্রকাশ করলেন। এদিন তিনি নিজেই ট্যুইট করে সেই কথা জানিয়েছেন।
ট্যুইটে থারুর লেখেন, আজ সকালে মল্লিকার্জুনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তাঁর প্রতি আমার দৃঢ় সম্মানের (respect) কথাও বলেছি। জাতীয় কংগ্রেসের (Indian national congress) সাফল্যের জন্য আমাদের ত্যাগের বিষয়ে কথা বলেছি। তবে, অনেকে এটিকে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি (strategy) বলেও মনে করছেন।
এবার প্রায় ২৪ বছর পরে গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন। সোনিযা-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা কেউ সভাপতি হতে চাননি। কংগ্রেস নেতৃত্বর একাংশের অনুরোধ সত্ত্বেও সভাপতি হতে রাজি হননি রাহুল গান্ধি। টানা প্রচারপর্বের পর এদিন দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার কংগ্রেস নেতৃত্ব ভোট দেবেন। এদিন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধানভবনেও ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপি নেতৃত্ব প্রায়ই গান্ধী পরিবারের কংগ্রেসের নেতৃত্ব কুক্ষিগত করে রাখা নিয়ে সমালোচনা করেন। এবারও বিজেপির (bjp) নেতারা বলতে শুরু করেছেন, শশী বা মল্লিকার্জুন যে-ই সভাপতি নির্বাচিত হবেন, তিনি গান্ধী পরিবারের রাবার স্ট্যাম্প হিসেবেই কাজ চালাবেন। মল্লিকার্জুন অবশ্য, রবিবারই বলেছেন, আমি সভাপতি হলেও গান্ধী পরিবারের পরামর্শ (advise) মেনেই দল চালাব। তাতে কেউ আমাকে রাবার স্ট্যাম্প বললেও আমার কিছু যায় আসে না।