শীতকালীন অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক বিল (Bill) আনছে কেন্দ্র। দিল্লিতে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের শেষে এরকমই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, এই ধরণের অধিকাংশ বিলে রাজ্যের (State) ক্ষমতা খর্ব করা হবে। তাঁর বক্তব্য, “আমরা আশঙ্কায় আছি আদপে সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা হবে কিনা।” এদিন ফের একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী।
শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেই অধিবেশনে তৃণমূলের রণনীতি কী হবে, তা ঠিক করতে বুধবার সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানের দলের প্রায় সব সাংসদরাই উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গে আলোচনা সারেন তৃণমূলের (AITC) সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সংসদীয় গণতন্ত্র (Parliamentary Democracy), যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই অধিবেশনে ১৬টি বিল আসছে। তার মধ্যে আছে বিদ্যুৎ বিল, সমবায় বিল, তথ্য সংরক্ষণ বিল। অনেকগুলি বিপজ্জনক বিল রয়েছে। এছাড়াও এমন অনেকগুলি বিল রয়েছে যাতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজ্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে খর্ব করার চেষ্টা চলছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে (Majority) হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) জোর করে বিলগুলি পাশ করিয়ে নেয়।
দেশের বিরোধী রাজনীতিকরা (Politician)বারবার গণতন্ত্র রক্ষার প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বুলডোজার নীতির সমালোচনা করেন। বুধবার আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বুলডোজার রাজনীতির (Bulldozer Politics) উল্লেখ করে আক্রমণ শানান। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী কন্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে যে কোনওভাবে মরীয়া আক্রমণ নামিয়ে আনছে দিল্লির বিজেপি সরকার। শীতকালীন অধিবেশনে ওই বিলগুলি আনার অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির অধিকার খর্ব করা।