নয়াদিল্লি: এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতিতে (Delhi Liquor Scam) অভিযুক্তের সঙ্গে যোগসাজশ ও মদতের অভিযোগ তুলল ইডি। বৃহস্পতিবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও সিসোদিয়া ঘনিষ্ঠ বিজয় নায়ারের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে নতুন করে আদালতে চার্জশিট জমা করে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এতদিন পর্যন্ত এই আবগারি দুর্নীতিতে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি কয়েক জন আপ নেতাদের নাম জড়িয়েছে বার বার। পদে পদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থা সিবিআই কখনও আবার ইডির ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে মণীশ সিসোদিয়াকে। এই ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছেন মণীশ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। তবে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ি ও অফিসে দীর্ঘক্ষণ তদন্ত চালিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে কোনও প্রমাণ হাতে আসেনি ইডির আধিকারিকদের। এতদিন পর্যন্ত কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ ওঠেনি। এই প্রথম কেজরিওয়ালের নাম জড়ালো দিল্লির বহু চর্চিত এই আবগারি দুর্নীতিতে। যদিও শুরু থেকেই গোটা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে কেজরিওয়াল বলে এসেছেন ইডি- সিবিআইয়ের এই সব তদন্ত এমনকী গোটা ঘটনাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।
আরও পড়ুন: Maharashtra Elections: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা বিজেপির
তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে যে চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি তাতে বলা হয়েছে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন এক ডানিকস অফিসার। ডানিকস বা দিল্লি, আন্দামান অ্যান্ড নিকোবার আইল্যান্ডস সিভিল সার্ভিসের এই অফিসার(Delhi, Andaman and Nicobar Islands Civil Service)। এক সময়ে মণীশ সিসোদিয়ার সচিব ছিলেন বলেও চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। এই অফিসারের জবানবন্দিতেই উঠে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে তিনি আবগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্তের সঙ্গে কেজরিওয়ালের যোগ সাজাশ ও মদত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
দিল্লির একটি পিএমএলএ কোর্টে চার্জশিট জমা করা হলে বৃহস্পতিবারই তা গৃহিত হয় এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে সিসোদিয়া ঘনিষ্ঠ বিজয় নায়ার, ইন্ডোস্পিরিটসের প্রধান সমীর মহেন্দ্র সহ একাধিক সংস্থার নাম উল্লেখ রয়েছে এই চার্জশিটে।
এই চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর তরফ আরও বলা হয়েছে, যে এই আবগারি দুর্নীতির থেকে সমস্ত টাকা গিয়েছে আপের নেতা-মন্ত্রী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের কাছে। ইডির আরও অভিযোগ এই টাকাই গোয়া নির্বাচনে প্রচারের কাজে লাগানো হয়। প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় গোয়ায় আপের সার্ভে টিমের ভলেন্টিয়ারদের।