কোহিমা: একদা জঙ্গি উপদ্রুত নাগাল্যান্ডে (Nagaland) শান্তি ও সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে তৎপর ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। সে কারণে নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই নাগাল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক খানাতল্লাশি চলছে। পৃথক নাগাল্যান্ড রাষ্ট্র গঠনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া ন্যাশনাল সোসালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের (NSCN) বিভিন্ন গোষ্ঠীকে তাই সতর্ক করে দিয়েছে যুদ্ধবিরোধী সুপারভাইজারি বোর্ড। সংগঠনের কেউ বা কোনও গোষ্ঠী যেন ভোটপর্বে অস্ত্র আমদানি, বহন কিংবা নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে, সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
সিজফায়ার মনিটরিং গ্রুপ (CFMG) এবং সিজফায়ার সুপারভাইজারি বোর্ডের (CFSB) স্টাফ অফিসার ফর চেয়ারম্যান টি মেরে জানান, রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনগুলিকে অস্ত্র মজুত সম্পর্কে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট করতে নিজ নিজ এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এনএসসিএনের সকল গোষ্ঠীকেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলা উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Nagaland Assembly Election 2023: নাগাল্যান্ডের ভোটেও ফের সরকার গঠনের চাবি বিজেপির হাতে
প্রসঙ্গত, মায়ানমারে ঘাঁটি গেড়ে দীর্ঘকাল ধরে এনএসসিএন পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘নাগালিম’ (Nagalim) গঠনের দাবিতে সশস্ত্র যুদ্ধ চালাচ্ছে। নাগা খ্রিস্টানদের এই সংগঠন এখন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। বিদেশি অর্থ সাহায্য বন্ধ যাওয়ায় আগের শক্তিও হারিয়েছে এনসিসিএন।
মেরে আরও বলেন, নিরাপত্তার কারণে যে কোনও ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই নির্দেশ সব জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি জানান, বিশেষ যুদ্ধবিরোধী পরিচয়পত্র যাদের আছে, তারাও এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য পড়বে। তারাও যেন সরকারের এই নির্দেশ ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত মেনে চলে, জানান মেরে।
১৯৯৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে এনএসসিএন-আইএমের সঙ্গে কেন্দ্রের একটি যুদ্ধবিরোধী চুক্তি হয়। পরে তাতে যোগ দেয় সংগঠনের আরও ৮টি গোষ্ঠী। তারপর থেকে নাগাদের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলে বিভিন্ন সময়ে। উল্লেখ্য, মেঘালয়ের সঙ্গে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারিতে ভোট গ্রহণ হবে নাগাল্যান্ডে। মনোনয়নপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ হচ্ছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের ফল ঘোষণা আগামী ২ মার্চ।