নয়াদিল্লি: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট (Hindenberg Report) প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) টালমাটাল অবস্থা। আদানি গোষ্ঠীর তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও, বিরোধী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে তদন্তের (Investigation) দাবি উঠেছে। এই বিষয়ে হওয়া জনস্বার্থ মামলার (Public Interest Litigation – PIL) পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কমিটি নিয়োগের কথা বলেছে। সোমবার তাতে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র (Centre)। এই কমিটি গড়ার একটাই উদ্দেশ্য, দেশে এই সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষমতাকে (Regulatory Regime) আরও জোরদার করে তোলা। তবে এটাও বলা হয়েছে, এই কমিটির জন্য যে প্যানেল (Pannel of the Prposed Committee) গড়া হবে, তা খুবই নির্দিষ্ট (Specific) হতে হবে, যাতে করে তা অর্থ এবং বিনিয়োগ প্রবাহকে (Flow of Money and Investments) ব্যাহত না করে।
শুনানি চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Solicitor General Tushar Mehta) আদালতের সামনে বক্তব্য রাখেন, ভবিষ্যতে কিভাবে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষিত করা যায় (Protecting Investors) এবং সেবি (Securities and Exchange Board of India – SEBI) পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে কিভাবে সক্ষম হবে, তা নিশ্চিত করার জন্য কমিটি নিয়োগ করতে সরকারের কোনও আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: বিনা টিকিটে ইডেনে রঞ্জি ফাইনাল দেখতে পারবেন দর্শকেরা
আগামী বুধবারের মধ্যে কেন্দ্রকে প্রস্তাবিত শর্তাবলী সহ নোট জমা দিতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত (Apex Court of India)। এরপর, আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenberg Research) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে ভারতীয় ধনকুবের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির (Gautam Adani) নেতৃত্বাধীন সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠী অনৈতিকভাবে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে। পাশাপাশি এটাও অভিযোগ করা হয়েছে, বিদেশে করছাড়ের যে শিথিলতা রয়েছে, তাকেও কাজে লাগিয়েছে আদানিরা। এরপরই শেয়ার বাজারে (Share Market) আদানি গোষ্ঠীর পতন শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকা থেকে গৌতম আদানির পতন হয়েছে। আদানির গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় লগ্নিকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
হাজার হাজার লগ্নিকারীর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে গত শুক্রবার দু’টি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট আইন সংশোধন এবং কড়া নজরদারির উদ্দেশ্যে মজবুত পরিকাঠামো গড়ার কথা বলেছে।দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ (Dhananjaya Y Chandrachud, Chief Justice of India – CJI) কেন্দ্রকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যার তত্ত্বাবধানে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।