মুম্বই: নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) গোষ্ঠীকেই শিবসেনার স্বীকৃতি (Recognition) দেওয়ার দুদিন পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। রবিবার তিনি দাবি করেন, শিবসেনা দলের নাম ও তির-ধনুক প্রতীক (Symbol) কিনতে ২ হাজার কোটি টাকার রফা হয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর বিধায়ক সদা সর্বঙ্কর বলেন, সঞ্জয় রাউত কি ক্যাশিয়ার?
রাউত এক টুইটে দাবি করেছেন, ২ হাজার কোটি টাকার ডিল তো একটা প্রাথমিক অঙ্ক এবং ১০০ শতাংশ সত্যি। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, তাঁর কাছে যা খবর আছে, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক বিল্ডার এই টাকা দিয়েছেন। তাঁর এই দাবির সত্যতা খুব শীঘ্রই তিনি ফাঁস করবেন বলেও জানান রাজ্যসভার এই সদস্য।
আরও পড়ুন: Manish Sisodia-CBI: সিবিআই হাজিরা এড়ালেন মণীশ সিসোদিয়া, সময় চেয়ে আবেদনে সাড়া মেলেনি
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবির। তা থেকে বেরিয়ে আসতে এদিন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিলেন উদ্ধব ঘনিষ্ঠ নেতা। এই প্রথম ঠাকরে পরিবারের হাতছাড়া হয়েছে শিবশেনা। ১৯৬৬ সালে বালাসাহেব ঠাকরে শিবসেনার (Shiv Sena) প্রতিষ্ঠা করেন। ভূমিপুত্রদের মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যেই বালাসাহেব শিবসেনা তৈরি করেন। বালাসাহেবের মৃত্যুর পর শিবসেনার রাশ তাঁর বড় ছেলে উদ্ধবের হাতে যায়। সেই থেকে শিবসেনায় উদ্ধবই ছিলেন শেষ কথা।
কিন্তু গত বছর একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) গোষ্ঠী বিদ্রোহ করায় শিবসেনার তাল কেটে যায়। দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে দলের নাম এবং প্রতীক (Name and Symbol) কারা ব্যবহার করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচন কমিশনে দুই গোষ্ঠীই নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা (Real Shivsena) বলে দাবি করে। অবশেষে কমিশন তার ৭৮ পাতার রায়ে জানায়, দলের নাম এবং তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহারের অধিকার পাবে শিন্ডে গোষ্ঠী। এই রায়ে তাদের বিপুল জয় দেখতে পাচ্ছে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী। কমিশনের যুক্তি, তারা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাদের রয়েছে, সেটাই বিবেচনায় রেখেছে। দেখা গিয়েছে, ৫৫ জনের মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে শিন্ডের দিকে। ১৮ জন সাংসদের মধ্যে ১৩ জনই শিন্ডের পক্ষে।
নির্বাচন কমিশনের এই রায়কে উদ্ধব গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে ব্যাখ্যা করেন। পক্ষান্তরে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে কমিশনের এই রায়কে মানুষ এবং সত্যের জয় বলে অভিহিত করেন।
শিবসেনার প্রধান জোটসঙ্গী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার মনে করেন, এই রায় মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের উপর বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না। মানুষ নতুন প্রতীককেই মেনে নেবে। প্রবীণ এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার উপর আর কোনও আলোচনার অবকাশ থাকে না।