নয়াদিল্লি: ‘কোয়লে কি দালালি মে হাথ কালা’। ফের কংগ্রেসকে (Congress) নিশানা করে মঙ্গলবার ‘কংগ্রেস ফাইলস পার্ট থ্রি’ (Congress Part 3) প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। এই পর্বে কংগ্রেস জমানায় কয়লা কেলেঙ্কারিকে (Coal Scam) তুলে ধরেছে গেরুয়া বাহিনী। প্রথম পর্বে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে ‘মৌনীবাবা’ বলে উল্লেখ করার পর এবার তাঁকে গান্ধী পরিবারের কাঠপুতুল বলেও পরোক্ষে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পিছপা হয়নি বিজেপি। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে প্রায় এক লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকার কয়লা দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন প্রকাশ করা ভিডিয়োতে দাবি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, সোমবারই দ্বিতীয় পর্বটি প্রকাশ করে বিজেপি। এখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে কয়লা খনি বণ্টন কেলেঙ্কারিতে দেশের রাজকোষের প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, মনমোহন সিং যখন দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের দুর্নীতি তখন শিরোনামে উঠে এসেছিল।
এর আগে এপিসোড ২-এ বিজেপি ইয়েস ব্যাঙ্কের সিইও রানা কাপুরের একটি মন্তব্য তুলে ধরেছিল। যেখানে তিনি ইডিকে বলেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর চাপে তাঁকে মকবুল ফিদা হুসেনের একটি ছবি ২ কোটি টাকায় কিনতে হয়েছিল। কাপুরকে সেই সময় পদ্মভূষণ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, এমনই দাবি ভিডিয়োয়।
বিজেপি এও দাবি করেছে যে, হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য করায় টাকায় সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসায় খরচ হয়েছিল। যদিও কংগ্রেস এই অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে বিজেপি এসব প্রচার করে বেড়াচ্ছে।
এদিন প্রকাশিত ৩ মিনিটের ভিডিয়োর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, কোয়লে কি দালালি মে হাথ কালা। শুধু হাত কালা হয়েছে তাই নয়, বিজেপির দাবি কংগ্রেসের মুখও কালো হয়েছে ওই কেলেঙ্কারিতে। কংগ্রেস মানে দুর্নীতি, সিজন ১, এপিসোড থ্রিতে বিজেপির দাবি, ইউপিএ জমানায় কয়লা ছিল দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়া। কিন্তু তাকেই দুর্নীতির শিকার করেছে কংগ্রেস।
বিজেপির আরও দাবি, ২০০৪-২০০৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ১০০টি কোম্পানিকে বেআইনিভাবে কয়লা খনি তুলে দেওয়া হয়েছে। আইনসম্মত টেন্ডার ছাড়াই এই কাজ হয়েছে। ক্যাগের রিপোর্টেও একথা বলা হয়েছে। এতে শুধু দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ হয়েছে তাই নয়, কংগ্রেসেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সেই সময় কয়লা মন্ত্রক ছিল ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতে।