Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশOdisha | Coromandel Express Accident | ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে হাসপাতালে আপজনের খোঁজ, দেহ...

Odisha | Coromandel Express Accident | ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে হাসপাতালে আপজনের খোঁজ, দেহ শনাক্ত করা যায়নি ১০১

Follow Us :

বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮ জন। যার মধ্যে শনাক্তকরণ হয়েছে ১৮৫টি দেহ। নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি ৮৩ জনের। সবমিলিয়ে এখনও ১০১টি দেহ শনাক্ত করা বাকি রয়ে গিয়েছে। ভুবনেশ্বর এইমস-এর তরফে শেষ পাওয়া রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে চার থেকে পাঁচ দিন, এখনও হাসপাতালে অভিশপ্ত ট্রেনের শতাধিক যাত্রীর চিকিৎসা চলছে। আহত যাত্রীদের চোখে মুখে সেই রাতের আতঙ্কের ছাপ। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বহু যাত্রী। ওড়িশার বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। তার মধ্যে রয়েছেন বাংলার অনেক বাসিন্দাও। কীভাবে ঘটল এত বড় রেল দুর্ঘটনা? কার গাফিলতি? নিছক দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও নাশকতা বা ষড়যন্ত্র? করমণ্ডল বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। এই কারণ খুঁজতেই মঙ্গলবার সিবিআইয়ের ১০ জনের একটি দল পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।

দুর্ঘটনার পর আপনজনের দেহ মৃত্যু স্তূপে বা হাসপাতালে হাসপাতালে খুঁজে বেড়াচ্ছেন কাছের মানুষেরা। স্বজনদের খোঁজে আসা তাঁদের আত্মীয়দের আর্তনাদ, হাহাকার আকাশ-বাতাস ছাপিয়ে ওঠে। মৃত ব্যাক্তিদের শনাক্তকরণের জন্য এবার নতুন করে আবেদন জানানো হল ভারতীয় রেলের তরফে। ওড়িশা সরকারের (Odisha Govt) সহযোগিতায় এক বিশেষ উদ্যোগ ভারতীয় রেল। এই দুর্ঘটনায় মৃত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত এবং অশনাক্ত মৃতদেহগুলি যাতে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব বা শুভানুধ্যায়ীরা শনাক্ত করতে পারেন তার জন্য এদের ফটোর লিংক প্রকাশ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: Brij Bhushan Sharan Singh | ব্রিজভূষণের বাড়িতে দিল্লি পুলিশের তল্লাশি, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ 

 ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) পুরসভার হেল্পলাইন নম্বরে ২০০-র বেশি ফোন এসেছে। এখনও দেহ শনাক্তকরণ চলছে। পরিচয় মিলছে যেমন যেমন, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে। কারণ এখনও একাধিক দেহ শনাক্তকরণ করা যায়নি৷ বিভিন্ন হাসপাতালে একাধিক নিহতের পরিজনরা ছুটে বেড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় সমস্ত ছবি লিংক-সহ প্রকাশ করল ভারতীয় রেল।  ২০০ জন এখন ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।

জানা যাচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ জন যাত্রীর। প্রধান কারণ এক্ষেত্রে মৃতদেহে বাহ্যিক আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা সোমবার সামনে আনেন এই  তথ্য। রেলের এক আধিকারিক জানান, বগিগুলি যখন ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে ছিটকে যায়,  সেখানে একটি ওভারহেড তার কোচের উপর পড়ার পরে, তখন বগির মধ্যে থাকা অবস্থাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যাত্রীদের। ফলে বগির ভিতরে থাকা বহু যাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সেজন্যই অন্তত ৪০ জন যাত্রীর দেহে ক্ষতের কোনও চিহ্ন নেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular