নাগপুর: কাজ ভুল করলেই জুটতো শারীরিক নির্যাতন। শাস্তি হিসেবে দেওয়া হত সিগারেট থেকে গরম প্যানের ছ্যাঁকা। চারদিন ঘরে তালাবন্দি থাকার পর, এক নাবালিকা পরিচারিকাকে উদ্ধারকে ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটল নাগপুরে। অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নাগপুরের অথর্ব নাগরি সোসাইটির বাসিন্দা এক দম্পতি ওই নাবালিকাকে পরিচারিকার কাজে জন্য তিন বছর আগে নিয়ে আসে। ১২ বছর বয়সী ওই নাবালিকা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। কিছুদিন পর থেকে নাবালিকার উপর পরিবারের তরফে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। পান থেকে চুন খসলেই চলত শারীরিক অত্য়াচার। কখনও গরম প্যান আবার কখনও সিগারেটের ছ্যাঁকা শাস্তি হিসেবে দেওয়া হত। এমনই নির্মম অত্যাচার চালাত ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: নগ্ন করে মহিলাকে ঘোরানোর অভিযোগ রাজস্থানে, আটক ৩
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। যাওয়ার সময় কিশোরীকে একটি ঘরে আটকে রেখে যান। এমনকি যাওয়ার সময় ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে যায়। ঘরেরই একটি জানলা দিয়ে চিৎকার করে সাহায্য চাইত সে। কিশোরীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দেখেন বাড়িতে তালা দেওয়া। এর পর স্থানীয়রাই দরজা ভেঙে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তার সারা গায়ে ছ্যাঁকার দাগ লক্ষ করেন স্থানীয়রা। পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে কিশোরীকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে। এরপরই নাগপুর পুলিশ বেঙ্গালুরু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।