কর্নাটকে: আমূল( Amul) কর্নাটকে (Karnataka) ব্যবসা করতে ঢুকছে না। কংগ্রেস (Congress) এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন ( Karnataka Milk Federation) এবং আমূল মোটেই এক ছাতার তলায় আসছে না। শুধু তাই নয়, কেএমএফ-এর (KMF) ব্যবসাও বেড়েছে তাদের আমলেই।
বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) টুইটে জানান, ২০১৯ সালে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে কেএমএফের (KMF) টার্নওভার ১০,০০০ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২২ সালে কোম্পানির টার্নওভার ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা ফেরত গিয়েছে কর্নাটকের কৃষকদের কাছে। তিনি বলেন, বিজেপি শাসিত কর্নাটক দুধের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দুগ্ধ সমবায় দারুণ কাজ করছে। যে কংগ্রেস নন্দিনী ব্র্যান্ডের জন্য কুমিরের কান্না কাঁদছে, তারা গোহত্যা বন্ধ করার আইনের বিরোধিতা করেছিল। নন্দিনীকে আরও বড় ব্র্যান্ড বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কর্নাটকের বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন:HIV Positive | উত্তরাখণ্ডের জেলেতেই এইচআইভি, আক্রান্ত ৪৪ বন্দি
মালব্য আরও জানান, কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুগ্ধ সমবায়। মহারাষ্ট্র এবং গোয়া সহ অনেক রাজ্যে এর ডিপো রয়েছে। তাঁর দাবি, কেএমএফের বিভিন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্যের ১৫ শতাংশই কর্নাটক বাইরে বিক্রি হয়। সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অন্যান্য অনেক দেশে নন্দিনী রফতানি করা হয়। তবে আমূল এবং কেএমএফ এক হওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে মালব্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভোটের আগে কংগ্রেস এই ইস্যুতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের অভিযোগ, আমূল নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, নন্দিনী দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে। বোম্মাই বলেন, নন্দিনীর পণ্যগুলি অন্যান্য রাজ্যেও বিক্রি হয় এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যাতে এই ব্র্যান্ড আমূলকে ছাপিয়ে যেতে পারে, তার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে।বৃহৎ বেঙ্গালুরু হোটেল অ্যাসোসিয়েশন রবিবার এক বিবৃতিতে আমূলের নাম না নিয়ে বলেছে, কানাড়িগাদের উচিত শুধুমাত্র নন্দিনী দুধই কেনা। তারা বলেছে, আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত দুধের জন্য আমরা সবাই গর্বিত। এই ব্র্যান্ডকে উৎসাহ দেওয়া উচিত।