নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Chief of Defence Staff) ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতের (Madhulika Rawat) মরদেহ বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু থেকে দিল্লিতে (Delhi) আনা হবে৷ তবে দু’জনের শেষকৃত্য (last Rites) হবে শুক্রবার৷ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে একই দিনে শেষকৃত্য হবে চপার দুর্ঘটনায় নিহত বাকি ১১ জনের ৷ সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে দেহ সৎকার হবে তিন বাহিনীর প্রধান ও তাঁর স্ত্রীর৷
এ দিকে সেনাধ্যক্ষের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বাড়ির সামনে এখন থেকেই ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ টুইটে চলছে শোকপ্রকাশ৷ আগামিকাল সন্ধেয় বায়ুসেনার বিমানে তামিলনাড়ু থেকে মরদেহ আসবে দিল্লিতে৷ তার পর শুরু হবে শ্রদ্ধা জানানোর পালা৷ শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা, বিরোধী দলের নেতারা, সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা এবং অগুণতি মানুষ৷ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন পর্ব৷ তার পর কামরাজ মার্গ থেকে বিশাল মিছিল করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ব্রার স্কোয়ার শ্মশানে৷
বুধবার দুপুরে সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিপিন রাওয়াতের চপার। কুন্নুরের নীলগিরিতে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে৷ কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই নিহত হন। দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত সস্ত্রীক প্রাণ হারিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: Bipin Rawat: গাছে ধাক্কা মেরে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চপারটা
বায়ুসেনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, কুয়াশা পড়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। সম্ভবত সেই কারণেই চপারটি নীলগিরির ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ার আগে একটি গাছে ধাক্কা মারে। তার পরেই আগুন ধরে যায়। সস্ত্রীক জেনারল বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: IAF Chopper Crashed: দুর্ঘটনায় রাওয়াতের মৃত্যু, জন্মদিন পালন করবেন না সোনিয়া
তবে, অন্য একটি সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই সেনা চপারে আগুন ধরে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে চপারের যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি যান্ত্রিক ত্রুটিই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে গাফিলতির প্রশ্নও জড়িয়ে থাকছে। ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক যে চপারে যাচ্ছেন, তা কেন ভালো করে পরীক্ষা করা হল না? অন্তর্ঘাতের অভিযোগও তুলছেন কেউ কেউ। সবটাই স্পষ্ট হবে বায়ুসেনার চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পর।