নয়াদিল্লি: সরকারি সম্পদকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা করার কথা ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রক। প্রকল্পের নাম ন্যাশানাল মানিটাইজেশন প্রকল্প (National monetisation project)। সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman) জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রেল, জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহণ, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন থেকে শুরু করে ২৫টি বিমানবন্দর, কলকাতা-হলদিয়ার মতো জাহাজবন্দরের পরিকাঠামোও তুলে দেওয়া হবে কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে।
ব্রাউনফিল্ড অ্যাসেট শুধু এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। তবে মালিকানা থাকবে সরকারের হাতে। কয়েকবছরের জন্য বেসরকারি সংস্থাকে ব্যবহার করতে দেবে সরকার। যদিও এই ভাবে ধীরে ধীরে সব কিছু বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্ল্যান করেছে মোদি সরকার, দাবি বিরোধীদের।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, প্রায় ৬৬ শতাংশ সরকারি সম্পদ বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। ন্যাশানাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন (NMP) এর তালিকায় ২৬ হাজার ৭০০ কিমি রাস্তা, রেল স্টেশন, ২৮ হাজার ৬০৮ কিমি বিদ্যুৎ পরিবহণ লাইন, ২.৮৬ লাখ ফাইবার অ্যাসেট, টেলিকম সেক্টরের ১৪ হাজার ৯১৭ টাওয়ার, ৮ হাজার ১৫৪ কিমি ন্যাচারাল গ্যাস পাইপলাইন এবং ৩ হাজার ৯৩০ কিমি পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের পাইপলাইন রয়েছে। রাস্তা এবং পাওয়ার প্রোজেক্ট ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ১৫ টা রেলের স্টেডিয়াম, ২৫ টা বিমানবন্দর, ১৬০ টি কোল মাইনিং প্রোজেক্ট প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: বিহারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল কালি
নীতি আয়োগের প্রধান অমিতাভ কান্তের মতে, দফায় দফায় অনেক পরামর্শের পরই এই বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সরকারি সম্পত্তির গুরত্ব একই থাকছে। শুধু পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, ৮৩ শতাংশ মোট আয়ের মধ্যে থেকে ২৭ শতাংশ রাস্তা, ২৫ শতাংশ রেল, ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ, তেল এবং গ্যাস থেকে ৮ শতাংশ এবং টেলিকম সেক্টর থেকে ৬ শতাংশ চলতি বছরেই বাজার থেকে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ক্যাডার করতে চাইছে তৃণমূল, WBCS প্রশ্ন বিতর্কে মন্তব্য দিলীপের