আম্বালা: আগ্রা, গুরুগ্রামের পর এবার আম্বালা। বড়দিনের রাতে হরিয়ানার চার্চে হামলা দুষ্কৃতীদের। আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের হোলি রিডিমার চার্চে বিভিন্ন মূর্তি ও স্থাপত্য ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
খ্রিস্টধর্মের উপর আঘাত হানার ঘটনা নতুন নয়। বড়দিনের প্রাকমুহূর্তে পঞ্জাবের একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উপরে। গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বড়দিনের অনুষ্ঠান বানচাল করে দেওয়া হয়। এদিন রাতেই হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের হোলি রিডিমার চার্চে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে পুলিস। আম্বালা থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। জেলার পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: Gurugram: হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তাণ্ডবে গুরুগ্রামে বানচাল বড়দিনের অনুষ্ঠান
আম্বালার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) নরেশ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে যেমনটা ধরা পড়েছে, শনিবার গভীর রাতে ওই গির্জার পাঁচিল টপকে ভেতরে আসে দুজন দুষ্কৃতী। তারপরেই ভাঙচুরের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
গির্জার ফাদার অ্যান্টনি জানিয়েছেন, রাত সাড়ে দশটার পর প্রার্থনাসভা শেষে বন্ধ করে দেওয়া হয় গীর্জার দরজা। রাত সাড়ে বারোটা থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফাঁকা গীর্জা চত্বরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে, মন্তব্য ফাদারের। আশা করি সরকার দ্রুত অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। গির্জার ভক্তদের এবং শহরের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষকে এই বিষয়ে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।