নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কমল সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত সংখ্যা ২৮৫৯১। যা গতকালের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। তবে দেশে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল ৩০৮ জনের। তবে সুস্থতার হার ৯৭. ৫১ শতাংশ।
এদিকে সংক্রমণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৯১ টি নতুন সংক্রমনের ঘটনা সামনে এসেছে থানে জেলায়। যার ফলে জেলাটিতে সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪০৪। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের।
রাজধানী দিল্লিতে বাড়ছে সংক্রমনের ঘটনা। গত ২৪ ঘন্টায় পঁয়ত্রিশটি নতুন সংক্রমনের ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও গত ৭ সেপ্টেম্বর একটি মৃত্যুর ঘটনা সামনে এলেও তারপর আর মৃত্যুর খবর আসেনি।
কেরালার পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগ বজায় রেখেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে সে রাজ্যে।
তামিলনাড়ুতে ১৬৩৯ টি অন্ধ্রপ্রদেশের ১১৪৫ টি এবং কর্নাটকে ৮০০ টি নতুন সংক্রমনের ঘটনা ঘটেছে। তেলাঙ্গানা আক্রান্ত হয়েছে ২৯৬ জন।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে রান্নার তেলের দাম কমাল মোদি সরকার
যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ টি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। রাজীব মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এছাড়াও রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ বিহারের মতো রাজ্যগুলোয় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ৭ টি সংক্রমনের ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে পশ্চিম সিংভূম এবং লাতেহার জেলায় সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে বলে ঝাড়খন্ড স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরীর মন্দিরে গিয়েছেন, আপনার পাশের ভক্ত সত্যিই করোনা নেগেটিভ তো?
অন্যদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে মিজোরামে ১০৩৯ টি সংক্রমনের ঘটনা সামনে এসেছে। যা যথেষ্টই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তেমনই করোনা সংক্রমনের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সিকিম সরকার।