নয়াদিল্লি: এখনও দিল্লির দূষণের পরিস্থিতি ভালো না। দেওয়ালি-বিদায়ের বেশকিছু দিন কেটে গেলেও রাজধানী দিল্লিতে শুক্রবারও দূষণের মাত্রা অত্যধিক। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ও অক্সিজেনের পরিমাণের হিসেবে এদিন দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) সকালে ছিল ৩২৯। গত বুধবার যা ছিল ২৬২। তথ্য অনুযায়ী, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দিল্লির আনন্দবিহারে সবচেয়ে দূষণের মাত্রা ৮৩৪। পাশাপাশি রোহিনিতে এই মাত্রা ৩৫৭, ঝিলমিলে ৪১৮ এবং সোনিয়া বিহারে ৩৩২।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে দূষণের কারণে এবছরও দেওয়ালিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও শীতের আগমনীতেই শিল্পাঞ্চল ও অন্যান্য ধোঁয়ার কারণে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাও এর জন্য কিছুটা দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী এই এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI)
বায়ু দূষণের এই পরিমাপকে আবহাওয়াবিদরা অত্যন্ত খারাপ বলে বর্ণনা করে থাকেন। একিউআই যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তাহলে তাকে ভালো বলা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হল সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০ হল মাঝারি সহনশীল। ২০১ থেকে ৩০০ হল খারাপ। ৩০১ থেকে ৪০০ হচ্ছে অত্যন্ত খারাপ এবং ৪০১ থেকে ৫০০-কে বিপজ্জনক মাত্রা বলা যায়।
সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাতাসে দূষণের পরিমাণ রয়েছে ১৫১ থেকে ১৫৩-র মধ্যে। পরিবেশবিদদের দাবি, সোমবার কালীপুজোর দিন সিতরাং-এর জেরে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় দূষণের মাত্রা একধাক্কায় অনেকটা নেমেছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার ও বুধবার বিসর্জনে ফের দেদার বাজি ফাটানো হয় শহর জুড়ে। যার জেরে গোটা কলকাতায় বেড়েছে বায়ুদূষণের মাত্রা।
আরও পড়ুন:Mosquito Repellents: মশার কামড় থেকে বাঁচতে খুবই কাজের এই ৫জিনিস
এরপর অপেক্ষা করে আছে ছট পুজো। তাতেও গোটা রাজ্য জুড়ে দেদার শব্দবাজি ফাটে। কিন্তু, বাজি ফাটানোর ব্যাপারে এবার প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার সচেষ্ট। শুধু দীপাবলি নয়, আসন্ন ছট পুজো থেকে বড়দিন সমস্ত উৎসবেই মানতে হবে রাজ্যের নির্দেশিকা। উৎসবের মরশুমে যাতে কোনওভাবেই দূষণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই এই বছর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
ছট পুজোর দিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে আতশবাজি। তবে সেই বাজি অবশ্যই পরিবেশ বান্ধব হতে হবে। এরপর ২৫ ডিসেম্বর ও বর্ষবরণের রাতে ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।