মুম্বই: বাড়ির ঘুলঘুলিতে বা কার্নিশে পায়রা (Pigeon) বাসা বেঁধে আছে, এমন দৃশ্য আমরা হামেশাই দেখতে পাই। অনেকে আবার বাড়ির ছাদে পায়রা পোষেন। শহরতলীর অনেক পুরনো বিল্ডিং ও আনাচে কানাচে ঝাঁকঝাঁক পায়রা দেখা যায়। অনেকে সেই দৃশ্য উপভোগ করেন, কেউ কেউ আবার ভালোবাসার (Love) প্রশ্রয় দিয়ে চাল, গম ও বিভিন্ন শস্যদানা খওয়ান। তবে এবার পায়রাকে খাওয়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মহারাষ্ট্রের থাণে নগর নিগম। প্রশাসন শহর জুড়ে পোস্টার লাগিয়েছে, পায়রাকে খাবার দিলেই ৫০০ টাকা জরিমানা (Penalty) করা হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, পায়রার বিষ্ঠায় থাকা ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) বাতাসের মাধ্যমে পায়রার কাছাকাছি থাকা লোকজনের শরীরে প্রবেশ করে। পায়রার কাছাকাছি যে সব মানুষ থাকেন, তাঁদের ফুসফুসের (Lungs) বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধছে।
আরও পড়ুন: Give Wings to Womens: মেয়েদের ডানা দাও, বার্তা বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের বাবা-মার
প্রশাসন জানিয়েছে, শহরে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাইপার সেন্সিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের রোগ বাড়ছে। মানুষের যে ফুসফুস শুকিয়ে যাওয়ার রোগ ধরা পড়ছে, তার প্রায় ৪০ শতাংশ পায়রার কারণে হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল জানিয়েছেন। বিশিষ্ট বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি জানিয়েছেন, পায়রার পালকে ও বিষ্ঠায় এক ধরনের অ্যান্টিজেন রয়েছে, যা মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক। এর ফলে হাইপার সেনসিটিভিটি তৈরি হয় যা ফুসফুসের ক্ষতি করে। রোগের বাড়বাড়ন্তের জন্য পায়রাকেই দায়ী করছে প্রশাসন। তাই সচেতনতা বাড়াতে মহারাষ্ট্র শহর জুড়ে পোস্টার লাগানো ও মাইকে জোর কদমে প্রচার চলছে।