নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Chief of Defence Staff) মরদেহ বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু থেকে দিল্লিতে আনা হবে। তবে, কখন তা রাজধানী শহরে পৌঁছবে, সে বিষয়ে বিশদ কিছু কেন্দ্র বা সেনার তরফে ঘোষণা করা হয়নি। সিডিএস বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) ছাড়া বাকি সেনাকর্তাদের মরদেহ কবে কুন্নুর থেকে ফিরিয়ে আনা হবে, তা-ও অস্পষ্ট। তবে, কেন্দ্রের একটি সূত্রে খবর, নিহতদের ডিএনএ টেস্ট করার পরেই স্বজনদের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়া হবে।
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জেনারেল রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়। সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বায়ুসেনার চপারটি। কুন্নুরের নীলগিরিতে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই নিহত হন। দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত সস্ত্রীক প্রাণ হারিয়েছেন।
বায়ুসেনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, কুয়াশা পড়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। সম্ভবত সেই কারণেই চপারটি নীলগিরির ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ার আগে একটি গাছে ধাক্কা মারে। তার পরেই আগুন ধরে যায়। সস্ত্রীক জেনারল বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: Bipin Rawat: গাছে ধাক্কা মেরে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চপারটা
তবে, অন্য একটি সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই সেনা চপারে আগুন ধরে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে চপারের যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি যান্ত্রিক ত্রুটিই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে গাফিলতির প্রশ্নও জড়িয়ে থাকছে। ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক যে চপারে যাচ্ছেন, তা কেন ভালো করে পরীক্ষা করা হল না? অন্তর্ঘাতের অভিযোগও তুলছেন কেউ কেউ। সবটাই স্পষ্ট হবে বায়ুসেনার চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পর।