গুরুগ্রাম: নমাজের জায়গায় গোবর্ধন পুজো। যোগ দিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্র। ঘটনাটি গুরুগ্রামের ১২এ সেক্টরের। পুজোর আয়োজক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। পুজোয় উপস্থিত থাকার জন্য সমিতির তরফে দাসনা দেবী প্রধান পুরোহিত ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি উপস্থিত হননি।
১২এ সেক্টরের ওই এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তায় নমাজ পড়া হয়। গত দু’সপ্তাহ যাবত কয়েকটি ডানপন্থী সংগঠন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা খোলা জায়গায় নমাজ পাঠে আপত্তি তোলেন। অক্টোবরের ২৯ তারিখ নমাজ পাঠে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ডানপন্থী সংগঠনের। যদিও তাঁরা সকলেই জামিন পেয়ে যান।
আরও পড়ুন: ‘মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’, সুস্মিতার মৃত্যু, আত্মহত্যা নাকি শেষ বেছে নেওয়ার অধিকার!
রবিবার হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির তরফে খোলা স্থানে নমাজ পাঠের বিরোধিতা করে জানানো হয়, সেক্টর ১২এ-র ওই এলাকায় তারা গোবর্ধন পুজো করবেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রতিনিধি বলেছিলেন, তাঁরা ওই জায়গায় বদলে অন্যত্র নমাজ পাঠ করতে পারেন। বিকল্প জায়গা দেওয়া হলে বা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তিগুলি দখলমুক্ত করলে তা সম্ভব।
প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, গুরগ্রামের প্রতিবাদী নাগরিকরা অন্যান্যদের পথ দেখাচ্ছেন যারা রাস্তা অবরোধে বিরক্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবাদ করতে পারেন না। সমিতির রাজ্য সভাপতি মহাবীর ভরদ্বাজ বলেন, শহরের অন্যান্য এলাকায় এ জাতীয় প্রতিবাদ করা হবে কি না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সকল পাবলিক প্লেসে নমাজের বিরোধিতা করে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বিমান-সূর্যর, দক্ষিণপন্থী সুব্রতর গ্রহণযোগ্যতা ছিল বাম-ডান সবার কাছেই
পুলিশ কমিশনার কে কে রাও এই বিষয়ে বলেন, কোনও এলাকা থেকে নমাজ বিঘ্নিত হওয়ার খবর আসেনি। মুসলিম সম্প্রদায়ের সিংহভাগ মানুষ ২৯ নম্বর সেক্টরের লেজার ভ্যালি গ্রাউন্ডে নমাজ পড়েন। গোবর্ধন পুজোর বিষয়ে জানতে পেরে তাঁরা সেক্টর ১২ এলাকায়।