ওয়েব ডেস্ক: জমির বদলে রেলে চাকরি দেওয়ার মামলায় নতুন করে চাপে পড়লেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED) তাঁকে সমন পাঠায়। এই সমনের প্রেক্ষিতে বুধবার পাটনার (Patna) ইডি দফতরে হাজির হন লালু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা মিসা ভারতী।
এর আগে, মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবী এবং তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে (Tejashwi Yadav)। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁদের জেরা করা হয়। ইডির দপ্তর থেকে বেরিয়ে তেজস্বী দাবি করেন, এই তদন্ত আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে! নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এদিন তেজস্বী দাবি করেন, “দিল্লির নির্বাচনের পর আমি বলেছিলাম, বিজেপির নজর এবার বিহারে। আমরা আইন মেনে চলি, তাই তদন্ত সংস্থার ডাক এলে হাজির হই। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্যই এসব মামলা হচ্ছে। যদি রাজনীতিতে না থাকতাম, তবে এসব কিছুই ঘটত না।” তেজস্বীর এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন ওঠে, লালুপ্রসাদও কি এবার ইডির জেরার মুখে পড়বেন? সেই জল্পনার অবসান ঘটে বুধবার দুপুরের আগেই। এদিন লালু নিজে ইডির দফতরে উপস্থিত হন।
#WATCH | Patna | RJD president Lalu Yadav arrives at the office of the Enforcement Directorate to appear before the agency in land for job scam pic.twitter.com/3YLoE2Jrew
— ANI (@ANI) March 19, 2025
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী এই জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারি? ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি মেধার ভিত্তিতে নয়, বরং জমি নেওয়ার শর্তে রেলের গ্রুপ ‘ডি’ পদে চাকরি দিয়েছিলেন। সিবিআই ও ইডির দাবি, মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা, জয়পুর ও হাজিপুরসহ বিভিন্ন রেল জোনে এই অনিয়ম হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট জমা দিয়েছে, যেখানে লালুপ্রসাদ-সহ মোট ১২ জনের নাম রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: