জয়পুর: অপরাধ পরকীয়া। এ কারণেই খুন হতে হল এক যুবকে৷ তাঁকে প্রেমিকার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে খুন করেছে। এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েও দিল মহিলার স্বামী। খুন করার পর প্রেমিকের দেহ বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দাবি, মৃতের বাবার৷ গত বৃস্পতিবার এই আমনবিক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকে রাজস্থানের হনুমানগড় জেলা।
পুলিশ জানিয়েছে, ভাইরাল ভিডিওতে জগদীশ মেঘওয়ালকে পিটিয়ে খুন করা হচ্ছে। বাড়ি হনুমানগড় জেলার প্রেমপুরা গ্রামে৷ তাঁর বাবার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন,কয়েকজন বাইকে চেপে এসে ছেলে দেহ বাড়ির উঠনে ফেলে দিয়ে যায়৷
https://twitter.com/HansrajMeena/status/1446793482178158597?s=20
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, কমপক্ষে ছয়জন এক যুবককে মারধর করছে৷ তাঁকে প্রথমে ঠেলে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়৷ তারপর একজন বুকে পা দিয়ে মাটিতে মাথা চেপে ধরে৷ বাকিরা লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে৷ কখনও মাথার চুল ধরে আছাড় মারা হয়৷ যুবক বারবার ছেড়ে দেওয়া আকুঁতি জানালেও কর্ণপাত করেনি অপরাধীরা৷ বরং, যত ছেড়ে দেওয়ার আকুঁতি জানিয়েছে, ততই লাঠির আঘাত বাড়তে থাকে৷ দু-মিনিট কুড়ি সেকেন্ডের এই পিটিয়ে খুনের ভিডিও দেখলে যে কেউ শিউরে উঠবে৷
আরও পড়ুন-ইচ্ছাকৃতভাবেই কৃষকদের উপর গাড়ি চালানো হয়, লখিমপুরের ঘটনায় প্রকাশ্যে আরেকটি ভিডিও
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমপুরা গ্রামেরই বাসিন্দা বিনোদ, মুকেশ,লালচাঁদ এলিস রামেশ্বর, সিকেন্দর এবং দিলীপ রাজপুত বাড়ির সামনে জগদীশকে ফেলে দিয়ে যায়৷ ছুটে এসে ছেলেকে বুকে আকড়ে ধরে বাবা বনওয়ারীলাল মেঘওয়াল৷ তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু, পারেননি৷ কারণ, অনেক আগেই জগদীশের মৃত্যু হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এগারো জনের নামে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে৷