ভোপাল: হিন্দু ও জৈন ছাত্রীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। মধ্যপ্রেদেশের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে একটি ফ্লেক্সে সাফল্য়ের খতিয়ানে হিন্দু ও জৈন ছাত্রীদের হিজাব পরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আদালতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার এমনই রায় ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। গতকাল ওই বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষকে বেল দেয় আদালত। একইসঙ্গে আদালত জানায়, স্কুল প্রাঙ্গন চত্বরে কোনও ছাত্রীকে জোর করে হিজাব পরানো যাবে না।
এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের দামোর এক বেসরকারি স্কুল গঙ্গা যমুনা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনজন কর্মী আফশা শেখ, অনস আতাহার এবং রুস্তম আলিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত, স্কুলের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হয় একটি ফ্লেক্সে। সখানে বাকি ছাত্রীদের সঙ্গে অভিযোগকারী তিন ছাত্রীকেও হিজাব পরিয়ে ওই ফ্লেক্সটি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ওই তিন ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। যদিও স্কুলের তরফে দাবি করা হয়, ওই ছবিতে যেটা হিজাব বলা হচ্ছে, সেটা ভুল। ওটা মাথার স্কার্ফ। ওটা স্কুল ইউনিফর্মেরই অঙ্গ।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় নাবালিকার পাশে দাঁড়িয়ে হস্তমৈথুন! তারপর কী হলো পড়ুন
এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান ওই স্কুলের সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই ঘটনার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন এই মামলার শুনানিতে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ওই তিনজনকে জামিন দেয় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।