কলকাতা: মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বক্তব্যে একবারও শোনা গেল না ‘জয় শ্রীরাম’, উঠে এল না মোদি সরকারের গ্যারান্টির কথাও, বক্তব্যের কোথাও এল না ‘বিজেপি’ও। ছিল শুধু এনডিএ নামক জোটের কথা। আর সেখান থেকেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়ে মোদি কি ‘বিজেপি’ ভুলে এনডিএ (NDA) জোটই ভরসা রাখতে চলেছেন?
মঙ্গলবার রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোদির বিজেপি আটকে গিয়েছে ২৪০ আসনের গন্ডিতে। আর তাঁর দলের নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ও ৩০০ আসনের গণ্ডিও পার করতে পারেনি। অর্থাৎ, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে পারছে না বিজেপি (BJP)। নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে বারবার ছিল ‘৪০০ পার’ স্লোগান তুলেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। কিন্তু অষ্টাদশ লোকসভার রেজাল্ট জানিয়ে দিল, এই প্রথমবার সহযোগীদের সমর্থনের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।
লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৫৪৫ আসনের মধ্যে প্রয়োজন ২৭৩টি। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি। তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯০টি আসন। অর্থাৎ, এইবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে পারছে না বিজেপি। তাদের যেতে হচ্ছে মিলিজুলি সরকারে। বিশ্লেষকদের মত, সেই কারণেই মঙ্গলবার ৩৪ মিনিটের বক্তব্যে বিজেপির থেকে এনডিএ-এর উপর বেশি জোর দিয়েছেন মোদি।
আরও পড়ুন: কোন পাঁচ কারণে বিজেপিকে হারালেন মমতা
উল্লেখ্য, ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের হাত ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত পুনরুত্থান হয়েছে কংগ্রেসের। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন, ‘ইন্ডিয়া’ ঝুলিতে এসেছে ২৩৩টি আসন। সংসদীয় বিধি অনুযায়ী, লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদের জন্য ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪-য় ৪৪টি এবং ২০১৯-এ ৫২টি আসন পাওয়ার কারণে কংগ্রেস সেই মর্যাদা পায়নি। কিন্তু এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় কংগ্রেস।
আরও খবর দেখুন