নয়াদিল্লি: পুরনো সংসদ ভবনে শেষতম অধিবেশনেও ভোট-প্রচার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। নিশানা সেই কংগ্রেস। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই ধুঁকতে থাকা শিল্প-কারখানা, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ও লক্ষ লক্ষ বেকারির দেশে আন্তর্জাতিক মুকুট নিয়ে ঢক্কানিনাদ করলেন মোদি। তাঁর ভাষণে কখনও উঠে এসেছে প্রাচীন দিনের কথা, কখনও বর্তমানের। কিন্তু, কথার ঘোরপ্যাঁচে কংগ্রেসকে ভরা সভায় সচতুরভাবে প্রতিপদে বেঁধেন। লোকসভায় মোদির এই আক্রমণের জবাব দেন বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যসভায় বিজেপি এবং মোদিকে তোপ দাগেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
মোদির নাম না করে অধীর সোমবার বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর বক্তব্যের সময় উত্তীর্ণ হলে স্পিকার বেল বাজিয়ে সতর্ক করে দিতেন। সে সময় সেই স্বাধীনতা, সাহস ছিল স্পিকারের। অর্থাৎ মোদি জমানায় স্পিকারের যে আদতে কোনও ক্ষমতা নেই, তা বোঝাতে চান অধীর। খাড়্গেও রাজ্যসভায় বলেন, আপনারা রাজনীতির পথ পরিবর্তন করুন। পুরনো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে গিয়ে কোনও মূলগত বদল আসবে না। তাঁর অভিযোগ, কিছু রীতিনীতিগত মন্তব্য ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদি মাত্র ২ বার ভাষণ দিয়েছেন। যেখানে অটলবিহারী বাজপেয়ি বিবৃতি দিয়েছেন ২১ এবং মনমোহন সিং ৩০ বার বিবৃতি দিয়েছেন সংসদে।
কংগ্রেসকে বিঁধে এদিন মোদি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে ভোটের বদল নগদ কেলেঙ্কারি থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই ভবন। কাল আমরা নতুন ভবনে চলে যাব ঠিকই, কিন্তু এই পুরনো বাড়ি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। এই সংসদে ৪ জন এমপির একটি দল আজ ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। সেখানে ১০০ জনের সাংসদ নিয়েও কেউ বিরোধী আসনে বসে রয়েছে।