ভোপাল: ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর৷ ভোপালের এই বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, সকালের আজানের শব্দে মানুষের ঘুম নষ্ট হয়৷ পুজাপাঠ, সাধনা ইত্যাদিতেও ব্যাপক সমস্যা হয়৷ শুধুই কি তাই? রোগী থেকে সাধারণ মানুষও আজানের শব্দে সমস্যায় পড়েন বলে তিনি দাবি করেছেন৷
মঙ্গলবার সন্ধেয় এক অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন , ‘ ভোর ৪টা থেকে জোরে জোরে আওয়াজ হতে শুরু করে৷ এতে অনেক মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যায়৷ রোগী, সাধু-সন্তরাও বেশির ভাগই এই সময় প্রার্থনা করেন৷ তাঁরাও সমস্যায় পড়েন৷
প্রজ্ঞা ঠাকুরের আরও দাবি, বেশিরভাগ সময়ই ভোর ৪ টা থেকেই আরতি শুরু হয়৷ অথচ, কোনওরকম যত্ন ছাড়াই বিকট শব্দ পাঠাতে থাকে৷ অথচ, যখন উচ্চস্বরে আমাদের প্রার্থনার হয়, তখন তাঁরা আপত্তি জানায়৷ তাঁরা দাবি করে তাঁদের ধর্ম বিশ্বাসে এই উচ্চস্বর অনুমতি দেয় না৷’
প্রজ্ঞা ঠাকুরের অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মধ্য ভোপালের বিধায়ক আরিফ মাসুদ৷ তিনি প্রজ্ঞা ঠাকুরকে সাংসদ পদের মর্যদা রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন৷ নরেন্দ্র মোদির কথা উল্লেখ করে ১৩০ কোটি মানুষের ভারতে এক ধর্মের আওয়াজ অন্যধর্মকে আঘাত করে না বলেও জানিয়েছেন৷
আরও পড়ুন-মৃত নিশা আর গোল্ড মেডেলিস্ট নিশা দাহিয়া আলাদা ব্যক্তি, দাবি হরিয়ানা পুলিশের
মাসুদ আরও বলেন, ‘প্রজ্ঞা ঠাকুর নিজেই একজন সাধু৷ তিনি সাধু হিসাবে জানেন যে, লোকেরা তাঁদের নিজস্ব বিশ্বাস এবং পদ্ধতি অনুসারে সর্বশক্তিমানকে স্মরণ করেন৷ যাতে কারও কোনও সমস্যা হয় না।’ তাই, প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে আরিফ মাসুদ বলেন, ‘ তিনি ভোপালের সাংসদ৷ তাঁকে সর্ব ধর্মের প্রতি সম্মান থাকা উচিত৷ তাছাড়া, ছোট ছোট বিষয় গুলো কীভাবে প্রার্থনার সময় সমস্যা করে? আমরা এই জাতীয় বিষয় গুলো কখনই বাধা দেওয়ার অনুমতি দিই না৷’