মির্জাপুর: পুরী-দিল্লি এক্সপ্রেসে (Puri-New Delhi Express) বোমাতঙ্ক। মাঝপথেই ট্রেন থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, ডগমগপুর স্টেশনে একটি ফোন করে দাবি করা হয় যে পুরী-দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসে বোমা রাখা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। বোমার খোঁজে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুর জেলার চুনুর রেলস্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে রেলপুলিশ, দমকল বাহিনী ও বোম্ব স্কোয়াড। যদিও শেষ পর্যন্ত বোমা বা বিস্ফোরক কিছু মেলেনি। তবে পরে জানা যায় ফোনটি ভুয়ো ছিল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নির্দিষ্ট সময় মেনেই যাত্রী নিয়ে পুরী (Puri) থেকে নিউ দিল্লির (New Delhi) দিকে রওনা দেয় পুরুষোত্তমপুর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি মাঝপথে চলে যাওয়ার পর দাগমাগপুর স্টেশন মাস্টারকে কেউ ফোন করে বোমাতঙ্কের খবর জানায়। অজ্ঞাত পরিচিত ওই ব্যক্তি জানায়, পুরুষোত্তমপুর এক্সপ্রেসের কামরার ভিতর বোমা রয়েছে এবং ঝিঙ্গুরা স্টেশনের কাছে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দগমগপুর স্টেশনে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসে বোমা রয়েছে বলে একটি হুমকি ফোন পেয়েছিলেন স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট। তবে ট্রেনে কোনও বোমা ছিল না। সেই কলে ভুয়ো দাবি করা হয়েছিল।’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীকান্ত প্রজাপতি বলেন, ‘বারাণসী সন্ত্রাস দমন শাখার একটি দলকে চুনার স্টেশনে ডাকা হয়েছিল। তারা ট্রেনটি চেক করার পরে জানায় যে তাতে কোনও বোমা নেই। পরে ট্রেনটি চুনার স্টেশন থেকে দিল্লির উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে।’ তবে ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্তা।
এটি প্রথম নয়, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বেল্লারি এক্সপ্রেসে বোমা থাকার দাবি করে ভুয়ো ফোন করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ফোনটি করেছিল সাঙ্গা রেড্ডির এক বাসিন্দা। সেকেন্দরাবাদ জিআরপির পুলিশ সুপার অনুরাধা সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা একটি কল পাই। তাতে বলা হয়েযছিব যে বেল্লারি এক্সপ্রেসে একটি বিস্ফোরক যন্ত্র লাগানো হয়েছে। এরপরই রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং জিআরপি পুলিশ অবিলম্বে ট্রেনটির তল্লাশি চালায়। তবে তল্লাশি চলাকালীন কোনও বোমা আমরা পাইনি। এটা ভুয়ো ফোন ছিল। সাঙ্গা রেড্ডির এক যুবক এই ফোনটি করেছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপালপুরম পুলিশ স্টেশনে এই সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।’