ওয়েব ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের থানে আদালতে (Thane Court) উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী হত্যার (Mahatma Gandhi Assassination) পর আরএসএস-এর (RSS) কিছু কর্মী নাকি ওই ঘটনাকে ‘উৎসব’ হিসেবে পালন করে থাকেন বলে স্বীকারোক্তি দিলেন আরএসএস কর্মী রাজেশ কুন্তে (Rajesh Kunte)। তিনি জানান যে, একসময় তিনি নিজে এমন এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী আরএসএস অফিসে উদ্যাপন করা হয় না, কিন্তু কিছু স্বয়ংসেবক আলাদাভাবে সেটি পালন করেন। আমি নিজেও ১৯৯১ সালে এমন এক উদ্যাপনে অংশ নিয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, কুন্তেই ২০১৪ সালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে “গান্ধী হত্যায় আরএসএস যুক্ত”। সেই মামলারই শুনানিতে আরএসএস সদস্য রাজেশ কুন্তে এই মন্তব্য করেন আদালতে।
আরও পড়ুন: জইশ যোগ, কাশ্মীরি ডাক্তারের থেকে উদ্ধার ৩০০ কেজি RDX ও রাইফেল
রাজেশ কুন্তে বর্তমানে ধর্মজাগরণ, কোকণ বিভাগের প্রধান এবং এর আগে ভিওয়ান্ডি শাখার সচিব ছিলেন। আদালতে রাহুল গান্ধীর আইনজীবী সুধীপ পাসবোলা ও নারায়ণ আইয়ারের জেরায় তিনি বলেন যে, অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত ছিল, তবে সংগঠনের অনুমতি নিয়েই তা করেন।
গান্ধী হত্যা ও আরএসএসের সম্পর্ক নিয়ে কুন্তে বলেন, ১৯৪৮ সালে গান্ধী হত্যার ঘটনায় নয়জন অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে নাথুরাম গডসে ও নারায়ণ আপতেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি স্বীকার করেন, “শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজনের আরএসএসের সঙ্গে যোগ ছিল বলে জানতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও জানান, গান্ধী হত্যার দুই দিন পরই আরএসএসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয় এবং দ্বিতীয় সর্সংঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকর সর্দার প্যাটেলকে চিঠি লিখে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানান। তবে কেন আরএসএসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান। গান্ধীর সঙ্গে আরএসএসের কোনও আদর্শগত বিরোধ নেই বলে দাবি করেন কুন্তে।
দেখুন আরও খবর:







