বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের হুবলিতে থানায় পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় ৮৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ শনিবারের হামলায় জখম হন ১২ জন পুলিসকর্মী৷ অধিকাংশে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও এক ইনস্পেক্টর গুরুতর আঘাত পান৷ তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ হুবলির পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, হামলাকারীরা পুলিসের জিপ-সহ একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালায়৷ মোট ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতদের মধ্যে মিম নেতার স্বামীও রয়েছেন৷ উত্তেজনা এড়াতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উস্কানিমূলক পোস্টকে ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত৷ অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার মতো পোস্ট শেয়ার করেন এক যুবক৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় ওই সম্প্রদায়ের মানুষ৷ পুলিস ওই যুবককে গ্রেফতারও করে৷ কিন্তু পুলিসের পদক্ষেপে অখুশি ওই সম্প্রদায়ের মানুষ ওল্ড হুবলি থানার সামনে জড়ো হন৷ শুরু হয় তাণ্ডব৷ উত্তেজিত জনতাকে সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস৷ ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস৷
হামলার নিন্দা করেন রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক পুলিস অফিসার৷ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করেই থানায় হামলা করা হয়েছে৷ পুলিস স্টেশনে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী সি এম অশ্বত্থনারায়নান৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷ মন্ত্রী বলেন, ‘থানায় হামলার ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ আমরা এই ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা করছি৷’
আরও পড়ুন: Ashish Mishra: লখিমপুরকাণ্ডে আশিস মিশ্রের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের