মুম্বই: জামিন মামলার শুনানি হল না৷ তার আগেই মৃত্যু হল স্ট্যান স্বামীর৷ এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত স্ট্যান স্বামী সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মারা যান৷ ৮৪ বছরের আদিবাসী সমাজকর্মী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন৷ মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি৷ সেখানেই মারা যান স্ট্যান স্বামী৷
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, প্রতিবাদে দড়ি দিয়ে টানা হল বাস
আদিবাসী অধিকারের জন্য তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন৷ গত বছর অক্টোবরে এলগার পরিষদ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ৷ তালোজা সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ পরে স্ট্যান স্বামীর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে(ইউএপিএ) মামলা রুজু করে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ৷ ইউএপিএ ধারায় জামিন সহজে মেলে না৷ গত মাসে এনআইএ স্বামীর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছিল৷ আদালতকে জানিয়েছিল, মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে স্বামীর৷ দেশে অস্থিরতা তৈরিতে মাওবাদীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত তিনি৷
আরও পড়ুন: তুষার মেহতার অপসারণের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি
তবুও গত সপ্তাহে জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন এই বিশিষ্ট সমাজকর্মী৷ এদিকে হাই কোর্টের নির্দেশে ২৮ মে থেকে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি স্ট্যান স্বামী৷ ছিলেন আইসিইউ-তে৷ রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়৷ রাখা হয় ভেন্টিলেটরে৷ সোমবার দুপুরে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসক ডি’সুজা আদিবাসী নেতার মৃত্যুর খবর দেন৷
আরও পড়ুন: গোমতী কাণ্ডে সিবিআই’য়ের হাতে ধৃত ইঞ্জিনিয়ার
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিতদের বিজয় দিবস উৎসবে হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষ হয়৷ ওই ঘটনায় একজন নিহত হন৷ জখম হন অনেকে৷ এই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ৷ তদন্তকারীদের দাবি, এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানে ওই সমাজকর্মীরা উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিল৷ ঠিক তার পরের দিনই হিংসার ঘটনা ঘটে৷ আরও অভিযোগ, এলগার পরিষদের সঙ্গে সরাসরি নকশালপন্থীদের যোগ রয়েছে৷