নয়াদিল্লি: রাস্তার কুকুরদের খাবার দেওয়া নিয়ে দুই পড়শির তুমুল ঝামেলা৷ হাতাহাতি। বহু তর্কাতকির পর ঝামেলা গড়ায় আদালত অবধি৷ এক পক্ষের প্রশ্ন, কুকুরদের খাওয়ানোর মধ্যে অন্যায়ের কী আছে? আরেক পক্ষের বক্তব্য, আবাসনের গেটের কাছে কুকুরদের খাওয়ানো চলবে না৷ দু’জনেই যে যার অবস্থানে অনড়। আদালত কার পক্ষ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন পশুপ্রেমীরা৷ আদালত অবশ্য কারও যুক্তি উড়িয়ে দেয়নি৷ জানিয়েছে, কুকুরদেরও খাবারের অধিকার আছে৷ কিন্তু অন্যের অসুবিধা যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার৷
আরও পড়ুন: চিকিৎসক দিবসে যোগ-প্রাণায়ামের বার্তা মোদির
রাস্তার কুকুরদের খাবারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে আদালত৷ তাই রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অথবা স্থানীয় পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ডকে সারমেয়দের খাবারের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট৷ আদালতের বিচারপতি জে আর মিধা ৮৪ পাতার রায়ে জানিয়েছেন, ‘রাস্তার কুকুরদেরও খাবারে অধিকার আছে৷ নাগরিকদেরও তাদের খেতে দেওয়ার অধিকার আছে৷ কিন্তু সেই অধিকার দেখানোর সময় যত্নশীল এবং সতর্ক থাকতে হবে৷ দেখতে হবে কুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে আশেপাশের কারও অসুবিধা বা ক্ষতি না হয়৷’
এ নিয়ে গাইডলাইন তৈরির জন্য আদালত পশু পালন দফতর, স্থানীয় পুরসভা, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার অফিসারদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেছে৷ আদালতের রায় কার্যকর করার নির্দেশ কমিটিকে দেওয়া হয়েছে৷ সেটা করার জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে একটি মিটিং করতে হবে কমিটিকে৷
আরও পড়ুন: পাক জেলে বন্দি ভারতীয়দের মুক্তির দাবি
আদালত আরও জানিয়েছে, প্রত্যেক কুকুরের নিজস্ব টেরিটরি অথবা এলাকা থাকে৷ সেই এলাকার একটি নির্দিষ্ট জায়গা তাদের খাবার খাওয়ানোর জন্য চিহ্নিত করা থাকবে৷ সেখানে গিয়ে কুকুরদের খাওয়াবেন পশুপ্রেমীরা৷ কিন্তু সেই জায়গাটিও এমন হতে হবে যাতে কোনও ব্যক্তির অসুবিধা না হয়৷ কেয়ারটেকারের অনুপস্থিতিতে প্রত্যেক কুকুর যাতে খাবার ও জল পায় তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুরসভাকে৷ যাঁদের নিজস্ব বাড়ি আছে তাঁরা নিজেদের চৌহদ্দির মধ্যে কুকুরদের খেতে দিতে পারবে৷ সেক্ষেত্রে কারও আপত্তি জানানোর এক্তিয়ার থাকবে না।