Wednesday, June 11, 2025
HomeদেশCyber Crime – Kidney Case: ঋণশোধ দিতে কিডনি বিক্রির চেষ্টা, ১৬ লক্ষ...

Cyber Crime – Kidney Case: ঋণশোধ দিতে কিডনি বিক্রির চেষ্টা, ১৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন নার্সিংয়ের ছাত্রী

Follow Us :

বিজয়ওয়াড়া: তিন কোটি টাকার লোভে পড়ে ঋণশোধ দিতে গিয়ে কিডনি বিক্রির চেষ্টায় সর্বস্বান্ত হলেন এক পড়ুয়া (Student)। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের (Hyderabad)। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের (Guntur, Andhra Pradesh) বাসিন্দা ওই মেয়েটি নার্সিংয়ের পড়ুয়া (Nursing Student)। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাইবার অপরাধীর (Cyber Criminals) ফাঁদে পড়ে ১৬ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন তিনি। ওই ছাত্রী তাঁর বাবার অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। সেই টাকা শোধ দিতেই তিনি কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই এই বিপত্তিতে। 

সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার হওয়ার পর নার্সিংয়ের পড়ুয়া ওই মহিলা গুন্টুর পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই এই ঘটনা জনসমক্ষে এসেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া খবরে পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার স্পন্দনা প্রোগ্রাম (Spandana programme)-এর অধীনে তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন: Supreme Court: কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধের আবহে আরও পাঁচ বিচারপতির নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের

জানা গিয়েছে, মেয়েটি কিডনি বিক্রি (Kidney Selling) করতে চাওয়ার পর কিছু দুষ্কৃতী ৩ কোটি টাকার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাঁকে এরপর কর প্রদান এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন মূল্য বাবদ (Taxes and Police Verification Costs) ১৬ লাখ টাকা জমা করতে বলা হয়। পুলিশের (Police) কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগে বলছে, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রবীন রাজ (Praveen Raj) নামে এক ব্যক্তি তাঁকে বলেছিল, অপারেশনের আগে ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে, আর বাকি অর্ধেক টাকা দেওয়া হবে অস্ত্রোপচারের পর। 

এরপর দুষ্কৃতীরা চেন্নাইয়ের সিটি ব্যাঙ্ক (Citibank)-এ অ্যাকাউন্ট খোলে এবং ৩ কোটি টাকা ট্রান্সফার করে। প্রতারণার শিকার হওয়া মেয়েটির দাবি, ভেরিফিকেশন চার্জ হিসেবে ১৬ লক্ষ টাকা করার পর সাইবার অপরাধীদের থেকে টাকা ফেরত চান তিনি। এরপর, টাকা নেওয়ার জন্য তাঁকে দিল্লি যেতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে ওই নার্সিং পড়ুয়া দেখেন ওই ঠিকানা ভুয়ো। 

এদিকে, সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া মেয়েটির বাবার বক্তব্য, এক সময় তিনি মেয়েকে তাঁর একটি এটিএম কার্ড (ATM Card) দিয়েছিলেন। সেখান থেকে গত নভেম্বরে ১৬ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। বাড়ি ফিরে আসতে বললে হায়দরাবাদের হস্টেল (Hostel) থেকে পালিয়ে যান তাঁর মেয়ে। বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অন্ধ্রপ্রদেশের এনটিআর জেলার জগ্গায়াপেটা থেকে মেয়েটিকে তাঁর বন্ধুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।

RELATED ARTICLES

Most Popular