কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক : আরিয়ান খান মাদক মামলায় ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। আর এই মুহূর্তে এই মামলায় এনসিবির চোখ যার দিকে তিনি হলেন মাদক মামলায় প্রধান সাক্ষী কিরণ গোসাভি। ঘটনার দিন আরিয়ানকে গ্রেফতার করে এই ব্যক্তি। জানা যায় এনসিবি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে আরিয়ানকে ঐদিন গ্রেফতার করে সে। কিন্তু পরে জানা যায় কিরণ গোসাভি একজন ব্যক্তিগত তদন্তকারী। সর্বোপরি যার সঙ্গে এনসিবির কোনও যোগাযোগই নেই। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। কিন্তু সোমবার সন্ধার পর গল্পের মোড় পাল্টায়। একদিকে যখন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে মাদক মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে দিল্লি পৌঁছেছেন এনসিনবির উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য, অন্যদিকে তখন মাদক মামলার মূল সাক্ষীর আত্মসমর্পণ করার খবর জানা যায় । সোমবার সন্ধায় তিনি জানান লখনউতে গিয়ে কিরণ গোসাভি আত্মসমর্পণ করবেন। যা ঘিরেই উঠছে একধিক প্রশ্ন। মুম্বাইয়ে মামলা হওয়া সত্ত্বেও কেন লখনউতে গিয়ে আত্মসমর্পণ ? তারই প্রশ্ন খুঁজেছেন পুলিশ।
আরও পড়ুন এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে তীব্র যানজট শহরজুড়ে, চরম দুর্ভোগে অফিস ফেরৎ যাত্রীরা
চলতি মাসে মধ্যরাতের এক প্রমোদতরীর উদ্দাম পার্টি থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। মাদক রাখার অভিযোগে একাধিক জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে এনসিবি কর্তারা।এমনকি এই জেরার সময় অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে দেখা যায় দেখা এই ঘটনায় ‘বিরাট’ কৃতিত্বের মতো যে এনসিবি কর্তা গ্রেফতার করেছে আরিয়ান খানকে। কার্যত তাঁকেই তদন্তের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এখন। তবে এর পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে কি না তা জানতেই তদন্ত চালাচ্ছেন এনসিবি।
আরও পড়ুন ১৫ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ, উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
প্রমোদতরী মাদক মামলার সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তলেন। জানান, টাকার বিনিময়ে তাঁকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। মুম্বই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান এনসিবি কর্তার সঙ্গে তাঁর ৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। এমনকি চুক্তি মেনে না নিলে তাঁকে প্রানে মারারও হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও মুম্বাই পুলিশকে তিনি জানান, তাঁকে ৩ অক্টোবর এনসিবি দফতরে জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁর ওপর জোর করে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমীরের বিরুদ্ধে এই চাঞ্ছল্যকর অভিযোগে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় এনসিবি।